ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তার দাবি

ঢাকা: বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

এ জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

বক্তব্যে বলা হয়, দাবির স্বপক্ষে সারাদেশের আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে আগামী ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সারা দেশের সব জেলা বারে আইনজীবীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। এবং দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের মহাসচিব আইনজীবী কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দস কাজল ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। অজ্ঞাত কারণে অদ্যাবধি তাকে গ্রেফতার বা বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। অথচ তার বিচার বাংলাদেশের জনগণের গণদাবী। এক্ষেত্রে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কোন উদ্যোগই এখন পর্যন্ত নেননি।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাকারী বিচারপতিও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা ছিল তাদের প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনী বৈতরণী পার করানোই ছিল এসব বিচারপতির মূল উদ্দেশ্য।

পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে কোনো নাগরিকেরই বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয় না। অথচ এই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একাধিক বিচারপতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যেকোন ধরনের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।

একজন বিচারপতি কতটা নির্লজ্জ না হলে আদালতের এজলাসে নিজে একটি দলের দলীয় প্রধানের প্রতিকৃতি স্থাপন করে তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। অতীতে সুপ্রিম কোর্টের এজলাস ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছে এমন নির্লজ্জ দলীয় ক্যাডাররাও বিচারপতি হিসেবে বহাল রয়েছেন।

আমাদের ভাবতে অবাক লাগে, এদেশের জনপ্রিয় রাষ্ট্র প্রধান, এবং স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘ডাকাত দলের প্রধান’ হিসেবে আখ্যাদানকারী বিচারপতিও বিচারকর্মে এখনও নিযুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অবিলম্বে উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিবাদের দোসর ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ বিচারকদের অপসারণ দাবি জানান জয়নুল আবেদীন।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত

error:

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তার দাবি

আপডেট সময় ০৬:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা: বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

এ জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

বক্তব্যে বলা হয়, দাবির স্বপক্ষে সারাদেশের আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে আগামী ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সারা দেশের সব জেলা বারে আইনজীবীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। এবং দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের মহাসচিব আইনজীবী কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দস কাজল ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। অজ্ঞাত কারণে অদ্যাবধি তাকে গ্রেফতার বা বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। অথচ তার বিচার বাংলাদেশের জনগণের গণদাবী। এক্ষেত্রে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কোন উদ্যোগই এখন পর্যন্ত নেননি।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাকারী বিচারপতিও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা ছিল তাদের প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনী বৈতরণী পার করানোই ছিল এসব বিচারপতির মূল উদ্দেশ্য।

পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে কোনো নাগরিকেরই বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয় না। অথচ এই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একাধিক বিচারপতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যেকোন ধরনের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।

একজন বিচারপতি কতটা নির্লজ্জ না হলে আদালতের এজলাসে নিজে একটি দলের দলীয় প্রধানের প্রতিকৃতি স্থাপন করে তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। অতীতে সুপ্রিম কোর্টের এজলাস ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছে এমন নির্লজ্জ দলীয় ক্যাডাররাও বিচারপতি হিসেবে বহাল রয়েছেন।

আমাদের ভাবতে অবাক লাগে, এদেশের জনপ্রিয় রাষ্ট্র প্রধান, এবং স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘ডাকাত দলের প্রধান’ হিসেবে আখ্যাদানকারী বিচারপতিও বিচারকর্মে এখনও নিযুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অবিলম্বে উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিবাদের দোসর ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ বিচারকদের অপসারণ দাবি জানান জয়নুল আবেদীন।