ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান

মাধবপুরে শত কৃষকের সফলতা: ব্রি ধান ১০২ ও ১০৪ জাতের বাম্পার ফলন

মাধবপুরে শত কৃষকের সফলতা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:*
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০২ ও ১০৪ জাতের বোরো ধান চাষে মাধবপুরের শত কৃষক পেয়েছেন অভূতপূর্ব সফলতা। নতুন জাতের এই ধানে খরচ কম, উৎপাদন বেশি—যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। শনিবার গোপীনাথপুর মাঠে অনুষ্ঠিত ধান কর্তন উৎসবে এলাকার কৃষকদের নিয়ে ধান কাটার কাজ করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

নতুন জাতের ধানে কম খরচে বেশি ফলন*
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, “গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরামর্শে আমরা গোপীনাথপুর মাঠে ব্রি ধান ১০২ ও ব্রি ধান ১০৪ জাতের ধান চাষ করেছি। এই নতুন জাতের ধান চাষে অন্যান্য জাতের তুলনায় খরচ কম এবং ফলনও অনেক বেশি হয়েছে।”

উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদে সরকারের উদ্যোগ*
হবিগঞ্জ নাগুড়া ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হীরেন্দ্র নাথ বর্মণ বলেন, “বাংলাদেশে চালের চাহিদা প্রতি বছর বাড়ছে, কিন্তু চাষাবাদযোগ্য জমি কমছে। সুতরাং, নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের গবেষণার মাধ্যমে নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করা হচ্ছে, যা কৃষকদের কম জমিতে বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে।”

কৃষকদের উন্নয়নে আরও পরিকল্পনা*হাইব্রীড ধান সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয়লাল বলেন, “এই নতুন ধান চাষে সহনশীল মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করলেই চলবে। আমাদের লক্ষ্য কৃষকদেরকে কম জমিতে বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করা, যাতে তারা সহজেই লাভবান হতে পারেন।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা*
ধান কর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তফা বিন আফজাল, সাংবাদিক আলা উদ্দিন আল রনি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাপ খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ফরিদুর রহমান, ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক আলমগীর কবির, বিকাশ বীর, আনোয়ার হোসেন বেলাল, হামিদুর রহমান প্রমুখ।

কৃষকদের নতুন আশা ও ভবিষ্যত*
মাধবপুরের কৃষকরা বর্তমানে যে সফলতা পেয়েছেন, তা কেবল তাদের জীবিকার উন্নতিই নয়, বরং তাদের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও একটি আলোর রেখা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন জাতের ধান চাষে কৃষকরা যদি আরো আগ্রহী হন, তবে এটি এলাকায় কৃষির ক্ষেত্রে একটি সফল মডেল হয়ে উঠতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

লিটন বিন ইসলাম। বার্তা সম্পাদক- বাংলার খবর২৪ সবার আগে সব খবর পেতে বাংলার খবরের সাথেই থাকুন।।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’

মাধবপুরে শত কৃষকের সফলতা: ব্রি ধান ১০২ ও ১০৪ জাতের বাম্পার ফলন

আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:*
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০২ ও ১০৪ জাতের বোরো ধান চাষে মাধবপুরের শত কৃষক পেয়েছেন অভূতপূর্ব সফলতা। নতুন জাতের এই ধানে খরচ কম, উৎপাদন বেশি—যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। শনিবার গোপীনাথপুর মাঠে অনুষ্ঠিত ধান কর্তন উৎসবে এলাকার কৃষকদের নিয়ে ধান কাটার কাজ করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

নতুন জাতের ধানে কম খরচে বেশি ফলন*
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, “গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরামর্শে আমরা গোপীনাথপুর মাঠে ব্রি ধান ১০২ ও ব্রি ধান ১০৪ জাতের ধান চাষ করেছি। এই নতুন জাতের ধান চাষে অন্যান্য জাতের তুলনায় খরচ কম এবং ফলনও অনেক বেশি হয়েছে।”

উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদে সরকারের উদ্যোগ*
হবিগঞ্জ নাগুড়া ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হীরেন্দ্র নাথ বর্মণ বলেন, “বাংলাদেশে চালের চাহিদা প্রতি বছর বাড়ছে, কিন্তু চাষাবাদযোগ্য জমি কমছে। সুতরাং, নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের গবেষণার মাধ্যমে নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করা হচ্ছে, যা কৃষকদের কম জমিতে বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে।”

কৃষকদের উন্নয়নে আরও পরিকল্পনা*হাইব্রীড ধান সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয়লাল বলেন, “এই নতুন ধান চাষে সহনশীল মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করলেই চলবে। আমাদের লক্ষ্য কৃষকদেরকে কম জমিতে বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করা, যাতে তারা সহজেই লাভবান হতে পারেন।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা*
ধান কর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তফা বিন আফজাল, সাংবাদিক আলা উদ্দিন আল রনি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাপ খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ফরিদুর রহমান, ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক আলমগীর কবির, বিকাশ বীর, আনোয়ার হোসেন বেলাল, হামিদুর রহমান প্রমুখ।

কৃষকদের নতুন আশা ও ভবিষ্যত*
মাধবপুরের কৃষকরা বর্তমানে যে সফলতা পেয়েছেন, তা কেবল তাদের জীবিকার উন্নতিই নয়, বরং তাদের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও একটি আলোর রেখা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন জাতের ধান চাষে কৃষকরা যদি আরো আগ্রহী হন, তবে এটি এলাকায় কৃষির ক্ষেত্রে একটি সফল মডেল হয়ে উঠতে পারে।