ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ Logo যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা — “হাজারো শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন” বললেন সৈয়দ মো. ফয়সল Logo ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার Logo মহাসড়কে উল্টে গেল লরি, কুমিল্লায় ১০ কিমি যানজট ও ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি Logo মুজিববাদী সংবিধান বাতিলের আহ্বান নাহিদের, সব জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার দাবি Logo পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ! Logo সারজিস আলম ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপি নিষিদ্ধ ঘোষণা Logo বাড়ি ফিরেছেন প্রসূন আজাদের বাবা, নিখোঁজের পর ফেরার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা Logo একটু পর মাঠে গরম উত্তেজনা, মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান Logo চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকরাম

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে তার এক সহযোদ্ধা রাশিয়া থেকে নিহত ওই যুবকের গ্রামের বাড়িতে এ খবর জানান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনমজুর বাবার সংসারের সচ্ছলতা ও নিজের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আকরাম। এগারো মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়া যান তিনি। সেখানে যাবার পর আট মাস সেখানকার একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে চাকরি করেন আকরাম। আড়াই মাস আগে দালালের প্রলোভনে পড়ে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ নেন। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ছবিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার স্বপ্নের যাত্রা।

আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া জানান, কোম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শর্ত ছিল যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে থাকার। পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও আকরাম জানিয়েছেন তার আর ফিরে আসার উপায় নেই।

আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালে ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও ১৩ এপ্রিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিতজনরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

শুক্রবার তার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। ফোনে জানানো হয়, আকরামের ইউনিটের কয়েকজন যোদ্ধা ইউক্রেন বাহিনীর মিসাইল হামলায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, পরিবার প্রথমে মরদেহটি কোথায় আছে সেটি শনাক্ত করতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজ পত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর উনারা ব্যবস্থা নিবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ

error:

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকরাম

আপডেট সময় ১০:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে তার এক সহযোদ্ধা রাশিয়া থেকে নিহত ওই যুবকের গ্রামের বাড়িতে এ খবর জানান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনমজুর বাবার সংসারের সচ্ছলতা ও নিজের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আকরাম। এগারো মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়া যান তিনি। সেখানে যাবার পর আট মাস সেখানকার একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে চাকরি করেন আকরাম। আড়াই মাস আগে দালালের প্রলোভনে পড়ে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ নেন। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ছবিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার স্বপ্নের যাত্রা।

আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া জানান, কোম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শর্ত ছিল যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে থাকার। পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও আকরাম জানিয়েছেন তার আর ফিরে আসার উপায় নেই।

আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালে ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও ১৩ এপ্রিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিতজনরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

শুক্রবার তার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। ফোনে জানানো হয়, আকরামের ইউনিটের কয়েকজন যোদ্ধা ইউক্রেন বাহিনীর মিসাইল হামলায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, পরিবার প্রথমে মরদেহটি কোথায় আছে সেটি শনাক্ত করতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজ পত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর উনারা ব্যবস্থা নিবেন।