ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ Logo যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা — “হাজারো শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন” বললেন সৈয়দ মো. ফয়সল Logo ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার Logo মহাসড়কে উল্টে গেল লরি, কুমিল্লায় ১০ কিমি যানজট ও ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি Logo মুজিববাদী সংবিধান বাতিলের আহ্বান নাহিদের, সব জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার দাবি Logo পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ! Logo সারজিস আলম ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপি নিষিদ্ধ ঘোষণা Logo বাড়ি ফিরেছেন প্রসূন আজাদের বাবা, নিখোঁজের পর ফেরার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা Logo একটু পর মাঠে গরম উত্তেজনা, মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান Logo চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

কুরবানি সামনে রেখে লাখাইয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

কোরবানির ঈদ এলেই টিং টাং টং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকার কামার পাড়াগুলোতে। বেড়ে যায় কারিগরদের ব্যস্ততা।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

হাতুড়ি পেটার শব্দে মুখর লাখাই উপজেলা বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়ায়।সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহা। কেউ পুরনো দা-ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। বুল্লা বাজারের বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক।

তবে কামারপাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে উপজেলাতে কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকে।

উপজেলার কামাররা বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে কোরবানির সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।উপজেলার কামার কৃষ্ণ কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি।

এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।বুল্লা বাজারের কামার নিতিন্দ্র দেব বলেন, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি।

কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো হয়।কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম স্বাভাবিক বলে জানান তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ

error:

কুরবানি সামনে রেখে লাখাইয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কোরবানির ঈদ এলেই টিং টাং টং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকার কামার পাড়াগুলোতে। বেড়ে যায় কারিগরদের ব্যস্ততা।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

হাতুড়ি পেটার শব্দে মুখর লাখাই উপজেলা বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়ায়।সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহা। কেউ পুরনো দা-ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। বুল্লা বাজারের বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক।

তবে কামারপাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে উপজেলাতে কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকে।

উপজেলার কামাররা বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে কোরবানির সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।উপজেলার কামার কৃষ্ণ কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি।

এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।বুল্লা বাজারের কামার নিতিন্দ্র দেব বলেন, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি।

কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো হয়।কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম স্বাভাবিক বলে জানান তারা।