ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না- অর্থ উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo সুদের কারবার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে Logo মৌলভীবাজারে ৩ ফিলিং স্টেশনকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

ভারতকে ছাড় দিতে নারাজ পাকিস্তান, চূড়ান্ত জবাবের প্রস্তুতি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের পপ্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও। এই অবস্থায় ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক বলেছেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত যদি পাকিস্তানে কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান তার ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেবে।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতের সাহস নেই পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘনের। কিন্তু যদি করে, তাহলে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়বে। তিনি ভারতের কূটনৈতিক আচরণকে চাণক্য নীতি বা ‘কূটনীতির আবরণে ছুরি মারা’ বলেও আখ্যা দেন।

আনোয়ারুল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে আজাদ কাশ্মীরকে অস্থির করতে পারে। যদি তারা এমন কোনো দুঃসাহস দেখায়, তাহলে উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান।’ পাকিস্তান যে কোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সিন্ধু নদের পানি চুক্তি। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দুই দেশের মধ্যে বিরল এক সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে এতদিন ধরে টিকে ছিল। এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু নদের জলাধার ব্যবস্থার ওপর অধিকতর নির্ভরশীল, কারণ দেশটির কৃষি ব্যবস্থার প্রায় ৯০ শতাংশ এই পানির ওপর নির্ভর করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দ্বিধা করবে না। ইতোমধ্যে ইসলামাবাদও স্পষ্ট করে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ বা সরিয়ে দেওয়ার যে কোনো চেষ্টা ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ শামিল হবে এবং তার জবাব দেওয়া হবে ‘সব ধরনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত’ অর্থাৎ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বা এনএসসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পানি হচ্ছে পাকিস্তানের ‘জীবনরেখা’, যা ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। তাই পানির প্রবাহ বন্ধ করা হলে তা ‘যুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর জবাবে পাকিস্তান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবে না।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের পানির প্রবাহ থামাতে কোনো জলাধার বা বাঁধ নির্মাণ করে, তাহলে পাকিস্তান সেই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেবে। এতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দ্বিধা করবে না ইসলামাবাদ।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি

ভারতকে ছাড় দিতে নারাজ পাকিস্তান, চূড়ান্ত জবাবের প্রস্তুতি

আপডেট সময় ০৯:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও। এই অবস্থায় ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক বলেছেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত যদি পাকিস্তানে কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান তার ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেবে।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতের সাহস নেই পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘনের। কিন্তু যদি করে, তাহলে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়বে। তিনি ভারতের কূটনৈতিক আচরণকে চাণক্য নীতি বা ‘কূটনীতির আবরণে ছুরি মারা’ বলেও আখ্যা দেন।

আনোয়ারুল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে আজাদ কাশ্মীরকে অস্থির করতে পারে। যদি তারা এমন কোনো দুঃসাহস দেখায়, তাহলে উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান।’ পাকিস্তান যে কোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সিন্ধু নদের পানি চুক্তি। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দুই দেশের মধ্যে বিরল এক সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে এতদিন ধরে টিকে ছিল। এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু নদের জলাধার ব্যবস্থার ওপর অধিকতর নির্ভরশীল, কারণ দেশটির কৃষি ব্যবস্থার প্রায় ৯০ শতাংশ এই পানির ওপর নির্ভর করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দ্বিধা করবে না। ইতোমধ্যে ইসলামাবাদও স্পষ্ট করে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ বা সরিয়ে দেওয়ার যে কোনো চেষ্টা ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ শামিল হবে এবং তার জবাব দেওয়া হবে ‘সব ধরনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত’ অর্থাৎ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বা এনএসসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পানি হচ্ছে পাকিস্তানের ‘জীবনরেখা’, যা ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। তাই পানির প্রবাহ বন্ধ করা হলে তা ‘যুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর জবাবে পাকিস্তান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবে না।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের পানির প্রবাহ থামাতে কোনো জলাধার বা বাঁধ নির্মাণ করে, তাহলে পাকিস্তান সেই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেবে। এতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দ্বিধা করবে না ইসলামাবাদ।