ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্তে বিরোধী দলের মত বাধ্যতামূলক Logo জগদীশপুর জে,সি হাই স্কুলের ফলাফল নিয়ে সমালোচনার ঝড়, কোচিং-বাণিজ্যে ক্ষোভ Logo সারা দেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা Logo চাঁদাবাজির অভিযোগে শেরপুরে যুবদল নেতা বহিষ্কার: আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান Logo ইটাখোলা ফাজিল মাদ্রাসায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বড়লেখায় প্রতারণার অভিযোগ: বিদেশ পাঠানোর নামে ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ Logo মাধবপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করলে পুলিশে সোপর্দ করুন: এড. আমিনুল ইসলাম Logo লাখাইয়ে ভ্যান ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৪

পিএসএলে ইসরায়েলি স্পন্সরশিপ ঘিরে বয়কটের ঝড়

ট্রফির সঙ্গে পিএসএলের দলগুলোর অধিনায়ক। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর শুরু হয়েছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে সাজানো এই আসর ঘিরে যেখানে উচ্ছ্বাস থাকার কথা ছিল, সেখানে এখন তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক আর বয়কটের ডাক।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড়সড় ঘোষণা দিয়ে এবারের পিএসএল হবে আগের যে কোনো আসরের চেয়ে ‘বড় এবং আকর্ষণীয়’। কিন্তু ঠিক সে সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে ওঠে ক্ষোভের ঝড়। পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে এমন কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও সামরিক অর্থায়নের অভিযোগ এনে বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বয়কট করে আসছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এই মানবিক বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি। আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, ঘরবাড়ি। এর জের ধরে পুরো মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড বয়কটের আন্দোলন।

বয়কট ডিভেস্টমেন্ট স্যাংকশন্স (BDS) নামের ফিলিস্তিন-ভিত্তিক বৈশ্বিক আন্দোলনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি চালু হয়। যে সব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে বা তাদের সামরিক বাহিনীতে অর্থ জোগায়, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে ওই বিতর্কিত ব্র্যান্ডগুলো থাকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ।

একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন. ‘প্যালেস্টাইনে আমাদের ভাইরা মরছে, আর আমরা পিএসএল নিয়ে উৎসব করছি!’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত পিএসএল এই জায়নিস্ট ব্র্যান্ডগুলোকে স্পন্সর হিসেবে রাখবে, ততদিন পর্যন্ত কেউ যেন ম্যাচ না দেখে। শুধু পোস্ট নয়- সত্যি সত্যিই বয়কট করুন।’

এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা আর বোর্ডের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও অনেক ভক্ত এই বয়কটের পক্ষে। তবে এখনো পর্যন্ত পিসিবি বা কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

মাধবপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

error:

পিএসএলে ইসরায়েলি স্পন্সরশিপ ঘিরে বয়কটের ঝড়

আপডেট সময় ১০:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর শুরু হয়েছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে সাজানো এই আসর ঘিরে যেখানে উচ্ছ্বাস থাকার কথা ছিল, সেখানে এখন তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক আর বয়কটের ডাক।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড়সড় ঘোষণা দিয়ে এবারের পিএসএল হবে আগের যে কোনো আসরের চেয়ে ‘বড় এবং আকর্ষণীয়’। কিন্তু ঠিক সে সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে ওঠে ক্ষোভের ঝড়। পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে এমন কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও সামরিক অর্থায়নের অভিযোগ এনে বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বয়কট করে আসছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এই মানবিক বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি। আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, ঘরবাড়ি। এর জের ধরে পুরো মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড বয়কটের আন্দোলন।

বয়কট ডিভেস্টমেন্ট স্যাংকশন্স (BDS) নামের ফিলিস্তিন-ভিত্তিক বৈশ্বিক আন্দোলনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি চালু হয়। যে সব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে বা তাদের সামরিক বাহিনীতে অর্থ জোগায়, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে ওই বিতর্কিত ব্র্যান্ডগুলো থাকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ।

একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন. ‘প্যালেস্টাইনে আমাদের ভাইরা মরছে, আর আমরা পিএসএল নিয়ে উৎসব করছি!’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত পিএসএল এই জায়নিস্ট ব্র্যান্ডগুলোকে স্পন্সর হিসেবে রাখবে, ততদিন পর্যন্ত কেউ যেন ম্যাচ না দেখে। শুধু পোস্ট নয়- সত্যি সত্যিই বয়কট করুন।’

এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা আর বোর্ডের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও অনেক ভক্ত এই বয়কটের পক্ষে। তবে এখনো পর্যন্ত পিসিবি বা কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।