ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে

পিএসএলে ইসরায়েলি স্পন্সরশিপ ঘিরে বয়কটের ঝড়

ট্রফির সঙ্গে পিএসএলের দলগুলোর অধিনায়ক। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর শুরু হয়েছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে সাজানো এই আসর ঘিরে যেখানে উচ্ছ্বাস থাকার কথা ছিল, সেখানে এখন তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক আর বয়কটের ডাক।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড়সড় ঘোষণা দিয়ে এবারের পিএসএল হবে আগের যে কোনো আসরের চেয়ে ‘বড় এবং আকর্ষণীয়’। কিন্তু ঠিক সে সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে ওঠে ক্ষোভের ঝড়। পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে এমন কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও সামরিক অর্থায়নের অভিযোগ এনে বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বয়কট করে আসছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এই মানবিক বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি। আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, ঘরবাড়ি। এর জের ধরে পুরো মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড বয়কটের আন্দোলন।

বয়কট ডিভেস্টমেন্ট স্যাংকশন্স (BDS) নামের ফিলিস্তিন-ভিত্তিক বৈশ্বিক আন্দোলনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি চালু হয়। যে সব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে বা তাদের সামরিক বাহিনীতে অর্থ জোগায়, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে ওই বিতর্কিত ব্র্যান্ডগুলো থাকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ।

একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন. ‘প্যালেস্টাইনে আমাদের ভাইরা মরছে, আর আমরা পিএসএল নিয়ে উৎসব করছি!’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত পিএসএল এই জায়নিস্ট ব্র্যান্ডগুলোকে স্পন্সর হিসেবে রাখবে, ততদিন পর্যন্ত কেউ যেন ম্যাচ না দেখে। শুধু পোস্ট নয়- সত্যি সত্যিই বয়কট করুন।’

এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা আর বোর্ডের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও অনেক ভক্ত এই বয়কটের পক্ষে। তবে এখনো পর্যন্ত পিসিবি বা কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত

error:

পিএসএলে ইসরায়েলি স্পন্সরশিপ ঘিরে বয়কটের ঝড়

আপডেট সময় ১০:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর শুরু হয়েছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে সাজানো এই আসর ঘিরে যেখানে উচ্ছ্বাস থাকার কথা ছিল, সেখানে এখন তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক আর বয়কটের ডাক।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড়সড় ঘোষণা দিয়ে এবারের পিএসএল হবে আগের যে কোনো আসরের চেয়ে ‘বড় এবং আকর্ষণীয়’। কিন্তু ঠিক সে সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে ওঠে ক্ষোভের ঝড়। পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে এমন কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও সামরিক অর্থায়নের অভিযোগ এনে বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বয়কট করে আসছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এই মানবিক বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি। আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, ঘরবাড়ি। এর জের ধরে পুরো মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড বয়কটের আন্দোলন।

বয়কট ডিভেস্টমেন্ট স্যাংকশন্স (BDS) নামের ফিলিস্তিন-ভিত্তিক বৈশ্বিক আন্দোলনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি চালু হয়। যে সব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে বা তাদের সামরিক বাহিনীতে অর্থ জোগায়, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে পিএসএলের স্পন্সরদের মধ্যে ওই বিতর্কিত ব্র্যান্ডগুলো থাকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ।

একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন. ‘প্যালেস্টাইনে আমাদের ভাইরা মরছে, আর আমরা পিএসএল নিয়ে উৎসব করছি!’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত পিএসএল এই জায়নিস্ট ব্র্যান্ডগুলোকে স্পন্সর হিসেবে রাখবে, ততদিন পর্যন্ত কেউ যেন ম্যাচ না দেখে। শুধু পোস্ট নয়- সত্যি সত্যিই বয়কট করুন।’

এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা আর বোর্ডের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও অনেক ভক্ত এই বয়কটের পক্ষে। তবে এখনো পর্যন্ত পিসিবি বা কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।