
বাংলার খবর ডেস্ক
দরিদ্র ও অসহায় মায়েদের সহায়তায় সরকার ২০১১ সাল থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্যক্রম চালু করেছে। গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ ও শিশুর লালনপালনে আর্থিক সহায়তা হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ ভাতা প্রদান করা হয়।
আবেদন পদ্ধতি
ভাতা পেতে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, গর্ভাবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট, ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্যসহ নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন অনলাইনে করা যাবে বা ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা কাউন্সিলরের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা যাচাই শেষে অনুমোদন করলে ভাতা প্রদান করা হয়।
👉 অনলাইনে আবেদন করা যাবে: http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration
প্রতি মাসের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আবেদন জমা নেওয়া হয়।
ভাতার পরিমাণ
প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে, ছয় মাস অন্তর এককালীন ৪,৮০০ টাকা দেওয়া হয়।
একজন সন্তানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪ মাসে মোট ১৯,২০০ টাকা।
দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ৩৬ মাসে সর্বোচ্চ ২৮,৮০০ টাকা পাওয়া যায়।
শর্তাবলি
আবেদনকারীর বয়স ২০–৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণের সময় আবেদন করতে হবে।
মাসিক আয় সর্বোচ্চ ১,৫০০–২,০০০ টাকার মধ্যে হতে হবে।
কৃষিজমি বা পুকুর থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
জুলাই মাসে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হয়, এ সময় অন্তত পাঁচ মাসের গর্ভবতী হতে হবে।
সতর্কবার্তা
প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকতে হবে। আবেদন অবশ্যই সরকারি নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় করতে হবে। এ ভাতা শুধুমাত্র দরিদ্র, অসহায় ও যোগ্য মায়েদের জন্য নির্ধারিত।