
হবিগঞ্জ লাখাই সড়কের বুল্লা বাজারে সড়কের উপর বসে সপ্তাহে দুই দিন হাঁস মোরগের হাট। ব্যস্ততম এ সড়কটিতে হাঁস মোরগের হাট বসায় বাজারে আসা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও যাত্রীরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ার অভিযোগ করেছেন। কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর এ সড়কে এভাবেই বসছে সপ্তাহের দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাঁস মোরগের হাট। জনদুর্ভোগ লাগবে সড়ক থেকে এই হাঁস মোরগের হাট সরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে,লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারের পূর্ব পাশে হবিগঞ্জ লাখাই আঞ্চলিক সড়কের উপরে দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে হাঁস মুরগি কবুতর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতা-বিক্রেতা, পাইকারসহ শতশত হাঁস মোরগ ব্যবসায়ী। ব্যস্ততম এ সড়কটিতে এ হাট বসায় দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। হাঁস মোরগ ব্যবসায়ী, পাইকার, ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী, যানবাহন সবমিলিয়ে যেন সড়কটিতে লেজেগোবরে অবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে দুইদিন এ সড়কটির উপরেই বসে এ হাট। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাঁস মোরগের হাট হিসেবেও এটি বেশ পরিচিত। উপজেলার ইজারাপ্রাপ্ত বাজারের মধ্যে এটি অন্যতম এবং বড়। শনি ও মঙ্গল সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতেই এখানে হাট বসার কথা জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ীরা। হাটবারে শতশত, ক্রেতা-বিক্রেতা পাইকারের হাকডাকে মুখরিত থাকে ঐ সড়ক এলাকা।হাটবারে ব্যস্ততম এ সড়কে হাঁস মোরগের হাট বসায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে এটি আরও জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে। সড়কটির দুপাশ থেকে আসা রিক্সা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, ট্রাক্টর, পিকআপ ভ্যানসহ সব ধরনের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে সড়কের উপর এ হাঁস মোরগের হাট কখনো কখনো যানজটের কারণও হয়।
এ বিষয়ে বুল্লা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও বুল্লা বাজার ব্যকস এর আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন বলেন উপজেলার ক্রমবর্ধিষ্নু বাজারে নানা সমস্যায় জর্জরিত।হবিগঞ্জ লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক এর বাজার অংশে সড়কের দুপাশে গবাদিপশু হাঁসমুরগি, কবুতরের হাট বসে এতে যানজট ও ক্রেতাসাধারণ এর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা এবং প্রায়শই ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এমতাবস্থায় গবাদিপশুর হাট সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা জরুরি। চল্লিশ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত মাল্টিপারপাস সেড,উইমেন্স কর্নার ও সব্জি সেড ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ না দেওয়ায় এ গুলো দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় তা ক্ষতি সাধন হচ্ছে এবং সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব। এদিকে সেড গুলোকে ব্যবহার এর সুযোগ করে না দেওয়ায় সড়কের পাশের গোপাটে নিয়ে বসতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে ক্রেতাসাধারণ এর ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মাংস প্রক্রিয়া জাত কারীদের জন্য কোন নির্ধারিত মানসম্মত সেড বা দোকানঘর না থাকায় তারা মহাসড়ক এর পাশে খোলা অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস প্রক্রিয়া জাত ও বিপনন করে আসছেন। এতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত মাংস প্রাপ্তি নিশ্চিত নয়।এক সময়ে লাখাইয়ে খোরপোষের কৃষি ব্যবস্থাপনা থাকলেও বর্তমানে কৃষিতে বানিজ্যিকিকরন প্রসার লাভ করায় স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বিশেষ করে শাকসবজি বাজারজাত করতে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ থেকে উত্তোরনে বাজারের সুবিধা জনক স্থানে কৃষকদের উৎপাদিত পন্য বিক্রির কৃষি বাজার স্থাপন করা সময়ে দাবী। এতে কৃষকরা তাদের পন্য বিক্রির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।