
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলাকে বলা হয় মৎস্য ও কৃষি ভান্ডার।সভ্যতার দৈনন্দিন জীবনের সাথে বিদ্যুতের প্রভাব রয়েছে সকল ক্ষেত্রে।
লাখাইয়ে বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙ্গে বর্তমানে কয়েক গুণ বেশি লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা জনগণ। গত কয়েক সপ্তাহ ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকলেও মাস শেষে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে গ্রাহকদের। অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও ভুতুড়ে বিলে জনজীবন কে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এসব অনিয়ম ও খামখায়েলির কাছে নিরব দর্শক লাখাইয়ের জনগণ।
স্থানীয়রা বলেন আগের তুলনায় এখন লোডশেডিং বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা উপজেলার কোথাও বিদ্যুৎ থাকেনা। আর ঝড় তুফান হলো তো কথাই নেই, কয়েকদিন চলে যায় বিদ্যুতের দেখা পায়না লাখাই বাসি। এরপর ও কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে জনবল সংকটে এমন হচ্ছে,বলে জানান। আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে ভেলকিবাজি করে আসছে কর্তৃপক্ষ।
সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাহিনির মতো মাঠে রয়েছেন । বিচ্ছিন্ন সংযোগ পুনরায় সংযোগ নিতে গেলে ভুতুড়ে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সংযোগ নিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।বিদ্যুৎ অফিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভুলের কারণে কিছুদিন আগেও মিটার বিহীন তারে বিদ্যুতে লেগে মারা যান এক বৃদ্ধ মহিলা। সচেতন মহলেরা বলেন লাখাই কারখানা না থাকার পরেও অসহনীয় লোডশেডিং দিচ্ছি, খাওয়ার সময় নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকে না, রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ থাকে না। সারাদিন কর্মব্যস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে দেখি বিদ্যুৎ নেই, মোবাইলে চার্জও দিতে পারিনা।লাখাই উপজেলার মানুষ ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং এর কবলে পড়ে। আগে বাড়িতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিল আসত। এখন বিল আসে আগের ডাবল। আমরা এই অসহনীয় লোডশেডিং ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল থেকে পরিত্রাণ চাই।
এ ব্যাপারে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লাখাই জোন অফিস সুমন সাহার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং লাখাই উপজেলায় হাওর এলাকা বেশি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। বজ্রপাতে বা ঝড় তুফানে কোন সমস্যা হলে মালামাল নিয়ে যেতে সময় লাগে। আর এজন্যই মূলত লোডশেডিং টা বেশি হচ্ছে। তাছাড়া জনবল সংকট তো আছেই। তিনি আরো বলেন শুধু আমাদের লাখাই উপজেলায় নয় অন্যান্য উপজেলায় ও লোডশেডিং হচ্ছে।