
লাখাই উপজেলায় মুড়িয়াউক গ্রামের সফিকুর রহমান (৫৮) হত্যা মামলাকে পুঁজি করে দফায় দফায় প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট এবং প্রতিপক্ষের বাড়িতে থাকা মহিলাদের উপর হামলা।
উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামে ১লা এপ্রিল প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সফিকুর রহমান। সফিকুর রহমান নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়তই প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অগ্নি সংযোগ করে যাচ্ছে। যাদের ভয়ে প্রতিপক্ষের নারী বৃদ্ধ শিশু সহ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,শফিকুর রহমান নিহত হওয়ার পর থেকে তার ছেলে এফতাউর রহমান খোকন,মুড়িয়াউক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসামি কাউসার মিয়া, রানা, হারুন মিয়া গং মিলে সাবেক চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর মিয়ার নির্দেশে প্রতিনিয়তই সুযোগ বুঝে ভাঙছে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ও লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় ১২ মে সোমবার ভোর ৫ টায় প্রতিপক্ষের মসকুদ আলীর মেয়ে মনোয়ারা আক্তার বাড়িতে গেলে তার মেয়ে মনোয়ারা আক্তার কে এলো পাতারি মারদূর করে এফতাউর রহমান খোকন,মুড়িয়াউক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসামি কাউসার মিয়া, রানা, হারুন মিয়া গং। মনোয়ারা বেগম আহত হয়ে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুড়িয়াউক গ্রামের মুসকুদ আলীর ঘরসহ ৭/৮ টি ঘর ভেঙে চুরমার করে সকল মালামাল নিয়ে গেছে।
১২মে (সোমবার) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় মুসকুদ আলীর বাড়ির চালের টিন খুলতে দেখা গেছে এবতাউর রহমান খোকনের গুষ্টির লোকদের।
এ সময় এ প্রতিবেদক লাখাই থানা ডিউটি অফিসার এসআই মুন্নাকে ফোন দিলে তিনি তাৎক্ষণিক এস আই মানিক সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনার স্থলে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে লুটপাট কারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মকসুদ আলীর মেয়ে মনোয়ারা বেগম বলে আমাদের ঘর দেখতে আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন খোকন,কাউসার সহ অনেকেই আমাকে মারধর করে। মনোয়ারা বলেন নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে আছে, কিন্তু কাউসার মিয়া মুড়িয়াউক ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হয়েও প্রকাশ্যে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করছে বারবার। আমরা নিরীহ মা-বোনরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। ওরা আমাদের ফসলের জমির ধানও কেটে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানা ওসি বন্দে আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ফাকা থাকায় এবং আলগা বাড়ি হওয়ায় লুটপাট কারীরা পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।