
বালাগঞ্জ-খসরুপুর সড়কের বিশাল অংশ দেবে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের পৈলনপুর-ফাজিলপুর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় একটি ব্রিজসহ সড়কের প্রায় ৩শ মিটার অংশে ফাঁটল ধরে অন্তত ৫ ফুট দেবে গর্ত হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে এই সড়কের কয়েকটি স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলোর সাথে এই স্থানিিটতে নদীর তীর মেরামত করেছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যথাযথভাবে নদীর তীর মেরামতের কাজ না করায় মঙ্গলবার দিনগত রাতে এই স্থানটি হঠাৎ করে দেবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, দুই বছর আগে প্রায় ২০কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু বারবার ভাঙনে আক্রান্ত হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর। পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে এই এলাকার মানুষ অন্তহীন ভোগান্তিতে আছেন। যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সড়কের দেবে যাওয়া স্থানটি জরুরি মেরামত করা খুবই প্রয়োজন।
এদিকে, জরুরি মেরামত নিয়ে এলজিইডি এবং পাউবো’র মধ্যে ঠেলাঠেলি চলছে। উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলীরা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এই স্থানটি মেরামত করেছিল। তাদের প্রজেক্ট চালু আছে, আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম বারী বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে একটা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা নদীর তীর সংরক্ষণে কাজ করি।
পাকা সড়কটি এলজিইডির, সড়কের দেবে যাওয়া অংশের জরুরি মেরামত তারা করবেন। এদিকে, ৭মে বিকেলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে সড়কের দেবে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন বালাগঞ্জের এসিল্যান্ড সরকার মামুনুর রশীদসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।