ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক Logo পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না- অর্থ উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

হবিগঞ্জে জামিননামা জালিয়াতি করে কারামুক্ত চার আসামি

বাংলার খবর ডেস্কঃ
জামিননামা জালিয়াতি করে মাদক মামলার চার আসামি হবিগঞ্জ কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। আসামিরা হলেন— সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শানিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ (২৩), বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন।।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৭ টার দিকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেটকার আটক করে র‌্যাব ৯ সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প সদস্যরা। এ সময় গাড়ি তল্লাশি করে ২টি পাটের বস্তায় ৮ পুটলায় ৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। র‌্যাব গাঁজাসহ উল্লেখিত চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ আসামিদের জামিনের জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসমামলা করেন ওই আইনজীবী।

২৬ জানুয়ারি মামলাটি শুনানি শেষে দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামিদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। মামলার সার্টিফাইট কপি সংগ্রহ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নেন আইনজীবী ফয়সল।
পুলিশের টহল গাড়িতে চোর চক্রের হামলা
আসামিদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আইনজীবীর সহকারী আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান আসামিরা জামিন পেয়ে গেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আইনজীবী ফয়সল আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মূলনথি পর্যালোচনা করে দেখেন সেখানে কোনো জামিন নামার কপি সংরক্ষিত নেই। পরে তিনি কোর্ট পুলিশ অফিসে ডেসপাস রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখতে পান উল্লেখিত আসামিদের জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথা নিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন। জামিননামা পরীক্ষা করে আসামিদের বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনি জানান জামিননামায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের সাক্ষর রয়েছে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে একাধিকবার কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক

হবিগঞ্জে জামিননামা জালিয়াতি করে কারামুক্ত চার আসামি

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ
জামিননামা জালিয়াতি করে মাদক মামলার চার আসামি হবিগঞ্জ কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। আসামিরা হলেন— সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শানিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ (২৩), বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন।।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৭ টার দিকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেটকার আটক করে র‌্যাব ৯ সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প সদস্যরা। এ সময় গাড়ি তল্লাশি করে ২টি পাটের বস্তায় ৮ পুটলায় ৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। র‌্যাব গাঁজাসহ উল্লেখিত চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ আসামিদের জামিনের জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসমামলা করেন ওই আইনজীবী।

২৬ জানুয়ারি মামলাটি শুনানি শেষে দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামিদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। মামলার সার্টিফাইট কপি সংগ্রহ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নেন আইনজীবী ফয়সল।
পুলিশের টহল গাড়িতে চোর চক্রের হামলা
আসামিদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আইনজীবীর সহকারী আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান আসামিরা জামিন পেয়ে গেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আইনজীবী ফয়সল আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মূলনথি পর্যালোচনা করে দেখেন সেখানে কোনো জামিন নামার কপি সংরক্ষিত নেই। পরে তিনি কোর্ট পুলিশ অফিসে ডেসপাস রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখতে পান উল্লেখিত আসামিদের জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথা নিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন। জামিননামা পরীক্ষা করে আসামিদের বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনি জানান জামিননামায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের সাক্ষর রয়েছে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে একাধিকবার কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান