ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাওয়ায় স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষ: ৬ দিন পর লাখাইয়ের মোজাম্মেল হকের গলিত লাশ উদ্ধার Logo জনি হত্যা মামলায় আসামির রিমান্ড, উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা Logo জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’ পাচ্ছে না এনসিপি Logo নবীগঞ্জে দুই দিন ধরে জনশূন্য শহর, সংঘর্ষের জেরে আটক ১৩, সালিশ কমিটি গঠিত Logo মামলার সংখ্যা জানতে চাইলেন সুব্রত বাইন, রিমান্ডে ৭ দিন Logo দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় এখনো প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে: ড. ইউনূস Logo দিনে স্কুলশিক্ষক, রাতে ভয়ংকর ডাকাত Logo হাইকোর্টের রায়: শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে পুনর্বহারের নির্দেশ Logo মুজিবুল হক চুন্নুই বৈধ মহাসচিব, জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত অবৈধ: ব্যারিস্টার আনিসুল Logo পরিবহন শ্রমিকদের দাবিতে সিলেটে বৈঠক, অংশ নিলেন আরিফুল হক

দিনে স্কুলশিক্ষক, রাতে ভয়ংকর ডাকাত

বাংলার খবর ডেস্ক

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের একজন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক এবং অন্যজন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। দিনে স্বাভাবিক পেশার আড়ালে তারা রাতের আঁধারে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন। এই চক্রের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন হলেন—নগরকান্দা উপজেলার শ্রীরাঙ্গাল গ্রামের মোক্তার হুসাইন ওরফে মোকা (৪৫), যিনি ‘দ্য ন্যাশনাল ইসলামিক প্রি ক্যাডেট স্কুল’ পরিচালনা করতেন। অপরজন পূর্ব সদরদী গ্রামের কিবরিয়া শেখ (৩৫), পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এছাড়া গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শহিদুল ওরফে শহিদ (৪৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার পার্থ রায় (৪২) ডাকাতিতে সরাসরি অংশ নেন।

সম্প্রতি চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির সময় গৃহকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে। শুরুতেই গ্রেপ্তার হয় স্কুল পরিচালক মোক্তার ও কিবরিয়া। তারা স্বীকার করে, ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকাত দল ‘হায়ার’ করে নিজেরাই এলাকায় ডাকাতি সংগঠিত করতেন।

এরপর আরেকটি মামলার সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হয় শহিদুল ও পার্থ। এদের তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও।

ভাঙ্গা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন বলেন, “ডাকাত দল গোপনে পাটক্ষেতে অবস্থান করছিল, কিন্তু আমরা আগে থেকেই তৎপর ছিলাম। অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এই চক্র দিনের বেলা সাধারণ জীবনযাপন করলেও রাতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করত—যা সমাজের জন্য এক চরম হুমকি বলেই মন্তব্য করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

মাওয়ায় স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষ: ৬ দিন পর লাখাইয়ের মোজাম্মেল হকের গলিত লাশ উদ্ধার

error:

দিনে স্কুলশিক্ষক, রাতে ভয়ংকর ডাকাত

আপডেট সময় ০৫:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের একজন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক এবং অন্যজন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। দিনে স্বাভাবিক পেশার আড়ালে তারা রাতের আঁধারে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন। এই চক্রের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন হলেন—নগরকান্দা উপজেলার শ্রীরাঙ্গাল গ্রামের মোক্তার হুসাইন ওরফে মোকা (৪৫), যিনি ‘দ্য ন্যাশনাল ইসলামিক প্রি ক্যাডেট স্কুল’ পরিচালনা করতেন। অপরজন পূর্ব সদরদী গ্রামের কিবরিয়া শেখ (৩৫), পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এছাড়া গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শহিদুল ওরফে শহিদ (৪৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার পার্থ রায় (৪২) ডাকাতিতে সরাসরি অংশ নেন।

সম্প্রতি চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির সময় গৃহকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে। শুরুতেই গ্রেপ্তার হয় স্কুল পরিচালক মোক্তার ও কিবরিয়া। তারা স্বীকার করে, ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকাত দল ‘হায়ার’ করে নিজেরাই এলাকায় ডাকাতি সংগঠিত করতেন।

এরপর আরেকটি মামলার সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হয় শহিদুল ও পার্থ। এদের তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও।

ভাঙ্গা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন বলেন, “ডাকাত দল গোপনে পাটক্ষেতে অবস্থান করছিল, কিন্তু আমরা আগে থেকেই তৎপর ছিলাম। অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এই চক্র দিনের বেলা সাধারণ জীবনযাপন করলেও রাতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করত—যা সমাজের জন্য এক চরম হুমকি বলেই মন্তব্য করেছে স্থানীয় প্রশাসন।