
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। রবিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন। বিমানবন্দর থানা সূত্রে তার আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নামার পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে হুইলচেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে নিতে দেখা যায়। সেখানেই কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয় তাকে। রাত প্রায় ৩টার দিকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সময় তার পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি, এবং তাকে বেশ ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।
গত মে মাসের শুরুতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, দেশ ছাড়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম
নৌশাদ খান। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ীই তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন।
তার হঠাৎ বিদেশ যাত্রা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠলে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যারা তার বিদেশযাত্রায় কারা সহযোগিতা করেছে তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৮ সালের একই দিনে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জে একটি ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আবদুল হামিদসহ মোট ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্তদের তালিকায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। সেই প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানা গেছে।