
দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও বড় পরিবর্তনের আভাস মিলছে। বর্তমান বিসিবি সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন চলছে। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাসভবনে যান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে উপদেষ্টা তাকে বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন। যদিও এই পরিবর্তনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবির দুই পরিচালক—জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে দেয়। তাদের জায়গায় এনএসসি থেকে মনোনীত হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ এবং কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন। পরে পরিচালকদের ভোটে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান ফারুক। তার আগেই পদত্যাগ করেন দীর্ঘদিনের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বর্তমানে আইসিসির নীতিমালার কারণে বিসিবিতে সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ সম্ভব নয়। বোর্ড সভাপতি হতে হলে নির্বাচনেই জয়ী হতে হয়। তবে ফারুক আহমেদ যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। জানা গেছে, তিনি পদত্যাগ নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য কয়েক দিনের সময় চেয়েছেন।
এদিকে বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব নিতে পারেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আগামী মাসে তার আইসিসিতে চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এমন গুঞ্জন কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এক গণমাধ্যমে আমিনুল বলেন,
“আমাকে এখনো বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে বলা হয়নি। গতকালের বৈঠকেও আমি ছিলাম না। তবে ১০-১৫ দিন আগে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা আমাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোনো একটি ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য চাচ্ছেন, আমি তাতে রাজি হয়েছি।”
তবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে সেটি যে দীর্ঘমেয়াদি হবে না, সেটিও স্পষ্ট করেছেন আমিনুল।
“আমার বিসিবিতে দীর্ঘ সময় থাকার ইচ্ছা নেই। দেশের প্রয়োজনে একজন সৈনিকের মতোই কাজ করব। দায়িত্ব পেলে সবদিক বিবেচনা করেই কাজে নামব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই সম্ভাব্য পরিবর্তন দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।