ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট! প্রস্তত ১৬ হাজার পশু Logo মাধবপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে টিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান Logo আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সচেতনতামূলক সভা মাধবপুরে অনুষ্ঠিত Logo স্বর্ণ আনার নিয়মে বড় পরিবর্তন: বছরে একবারই সুযোগ, শুল্ক ৪০ হাজার টাকা Logo মাধবপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ Logo সরাইল ব্যাটালিয়নের বিশেষ অভিযানে চোরাচালানী মালামাল আটক Logo লাখাইয়ে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ।প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী মহল Logo মাধবপুরে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ২০২৫-২৬ বাজেটে বয়স্ক ভাতা বাড়ছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে জোর Logo প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমলো, বাড়লো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে

ঋণ খেলাপি হয়ে মাধবপুরের জাস রুটোপ্লেক্স কোং নিলামে বিক্রির আহ্বান।

মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
ঋণ খেলাপির দায়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে গড়ে ওঠা জাস রুটোপ্লেক্স কোং লিঃ নিলামে বিক্রির আহ্বান করা হয়েছে।

ইসলামি ব্যাংক সিলেট শাখা হতে ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ কোং বিক্রি করে অর্থ আদায়ের জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিাকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামি ব্যাংক সিলেটর এসডিপি ও শাখা প্রধান।

জানা গেছে, জাস রুটোফ্লেক্স ইন্ডাস্ট্রিসো লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালাক উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ছানাউল্লাহ চৌধুরী ও তার বড় ভাই ওই ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান এ কে এম জাকারিয়া চৌধুরী একাধিক তফসিলের ৪৭৩ শতাংশ জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখে। বন্ধকী জমি ও ফ্যাক্টরির গোডাউন এর বিপরীতে ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণ নেয়। ২০১৬ সালে উত্তোলিত ঋণের টাকা ছানাউল্লাহ চৌধুরী ও জাকারিয়া চৌধুরী পরিশোধ না করে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে তাদের স্বাক্ষরিত চেক দেয় ইসলামি ব্যাংকের অনুকূলে। ওই চেকের একাউন্টে টাকা না থাকায় ডিসঅনার হয়।

এভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে নেওয়া জাস রুটোফ্লেক্স কোং লিঃ উত্তোলিত টাকা সম্পূর্ণ খেলাপি হয়ে যায়।
ফলে প্রতিটি ঋণের বিপরীতে যে জমি বন্ধক দেওয়া আছে, তা নিলামে তুলা হয়েছে।
ব্যাংকিং আইন অনুসারে প্রথমে জমি নিলামে তোলা হবে, তা না হলে অন্য প্রক্রিয়ায় এই অর্থ তুলে নেওয়া হবে।

ব্যাংকটির সিলেট মেইন শাখার দেওয়া ঋণের বেশিরভাগই নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে যে পরিমাণ জমি ও স্থাপনা বন্ধক আছে এসব বিক্রি করেও টাকা তুলতে পারবে না ইসলামী ব্যাংক। আরও জানা যায় ওই কোম্পানির পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পরিবারের পুরুষ ও মহিলাসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সকল সদস্যের নামে আলাদা আলাদা ঋণ গ্রহন করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে ঋন দেওয়ার কারণে তখনকার সময়ের শাখা ব্যবস্থাপক চাকুরীচ্যুত হয়েছে।
অতিদ্রুত সময়ে আরও কয়েকটি নিলাম বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
জনপ্রিয় সংবাদ

কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট! প্রস্তত ১৬ হাজার পশু

error:

ঋণ খেলাপি হয়ে মাধবপুরের জাস রুটোপ্লেক্স কোং নিলামে বিক্রির আহ্বান।

আপডেট সময় ০৯:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
ঋণ খেলাপির দায়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে গড়ে ওঠা জাস রুটোপ্লেক্স কোং লিঃ নিলামে বিক্রির আহ্বান করা হয়েছে।

ইসলামি ব্যাংক সিলেট শাখা হতে ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ কোং বিক্রি করে অর্থ আদায়ের জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিাকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামি ব্যাংক সিলেটর এসডিপি ও শাখা প্রধান।

জানা গেছে, জাস রুটোফ্লেক্স ইন্ডাস্ট্রিসো লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালাক উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ছানাউল্লাহ চৌধুরী ও তার বড় ভাই ওই ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান এ কে এম জাকারিয়া চৌধুরী একাধিক তফসিলের ৪৭৩ শতাংশ জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখে। বন্ধকী জমি ও ফ্যাক্টরির গোডাউন এর বিপরীতে ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণ নেয়। ২০১৬ সালে উত্তোলিত ঋণের টাকা ছানাউল্লাহ চৌধুরী ও জাকারিয়া চৌধুরী পরিশোধ না করে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে তাদের স্বাক্ষরিত চেক দেয় ইসলামি ব্যাংকের অনুকূলে। ওই চেকের একাউন্টে টাকা না থাকায় ডিসঅনার হয়।

এভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে নেওয়া জাস রুটোফ্লেক্স কোং লিঃ উত্তোলিত টাকা সম্পূর্ণ খেলাপি হয়ে যায়।
ফলে প্রতিটি ঋণের বিপরীতে যে জমি বন্ধক দেওয়া আছে, তা নিলামে তুলা হয়েছে।
ব্যাংকিং আইন অনুসারে প্রথমে জমি নিলামে তোলা হবে, তা না হলে অন্য প্রক্রিয়ায় এই অর্থ তুলে নেওয়া হবে।

ব্যাংকটির সিলেট মেইন শাখার দেওয়া ঋণের বেশিরভাগই নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ ০৭ হাজার ৯৫৩.৩১ টাকা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে যে পরিমাণ জমি ও স্থাপনা বন্ধক আছে এসব বিক্রি করেও টাকা তুলতে পারবে না ইসলামী ব্যাংক। আরও জানা যায় ওই কোম্পানির পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পরিবারের পুরুষ ও মহিলাসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সকল সদস্যের নামে আলাদা আলাদা ঋণ গ্রহন করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে ঋন দেওয়ার কারণে তখনকার সময়ের শাখা ব্যবস্থাপক চাকুরীচ্যুত হয়েছে।
অতিদ্রুত সময়ে আরও কয়েকটি নিলাম বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।