ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না- অর্থ উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo সুদের কারবার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে Logo মৌলভীবাজারে ৩ ফিলিং স্টেশনকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

৪ শর্তে ফিরতে পারবে আওয়ামী লীগ

বাংলার খবর ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীতো দূরের কথা শেখ হাসিনার অনেক কাছের লোকও হয়তো টের পাননি ৪৫ মিনিটের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন।।

শেখ হাসিনা যখন হেলিকপ্টারে করে পালাচ্ছেন তখনও মানুষ মারতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেই আওয়ামী লীগ আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে চায়, ডাক দিয়েছে হরতাল-অবরোধের। আদৌ কী সম্ভব কয়েক মাস বা বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রিয়াজ আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের জন্য চারটি শর্ত উল্লেখ করেছেন।

সেগুলো হলো-
১. ১৬ বছরের শাসনামলে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া;
২. দলের বর্তমান মতাদর্শ পরিত্যাগ করা;
৩. শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো সদস্যকে আর নেতৃত্বে না রাখা।
৪. মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব নৃশংস অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
আলী রিয়াজ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐক্যমত্য গড়ার কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় যেসব ব্যক্তি গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী, তাদের বিচার হতে হবে, যার মধ্যে শেখ হাসিনাও অন্তর্ভুক্ত। এই শর্তগুলো পূরণ হলে তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’

বিদেশে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে কর্মীদের পুনর্গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে দাবি করছেন ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘ব্যর্থ হতে চলেছে।’ কিন্তু এই বক্তব্য দলীয় কর্মীদের কাছে সেভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এসব বক্তব্যের নিচে মন্তব্যের ঘরে, আওয়ামী লীগের জুনিয়র কর্মীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন, ‘বিদেশের নিরাপদ আশ্রয় থেকে বক্তব্য দেওয়া সহজ। কিন্তু দেশে কর্মীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এবং লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি

৪ শর্তে ফিরতে পারবে আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় ০৮:২৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীতো দূরের কথা শেখ হাসিনার অনেক কাছের লোকও হয়তো টের পাননি ৪৫ মিনিটের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন।।

শেখ হাসিনা যখন হেলিকপ্টারে করে পালাচ্ছেন তখনও মানুষ মারতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেই আওয়ামী লীগ আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে চায়, ডাক দিয়েছে হরতাল-অবরোধের। আদৌ কী সম্ভব কয়েক মাস বা বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রিয়াজ আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের জন্য চারটি শর্ত উল্লেখ করেছেন।

সেগুলো হলো-
১. ১৬ বছরের শাসনামলে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া;
২. দলের বর্তমান মতাদর্শ পরিত্যাগ করা;
৩. শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো সদস্যকে আর নেতৃত্বে না রাখা।
৪. মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব নৃশংস অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
আলী রিয়াজ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐক্যমত্য গড়ার কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় যেসব ব্যক্তি গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী, তাদের বিচার হতে হবে, যার মধ্যে শেখ হাসিনাও অন্তর্ভুক্ত। এই শর্তগুলো পূরণ হলে তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’

বিদেশে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে কর্মীদের পুনর্গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে দাবি করছেন ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘ব্যর্থ হতে চলেছে।’ কিন্তু এই বক্তব্য দলীয় কর্মীদের কাছে সেভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এসব বক্তব্যের নিচে মন্তব্যের ঘরে, আওয়ামী লীগের জুনিয়র কর্মীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন, ‘বিদেশের নিরাপদ আশ্রয় থেকে বক্তব্য দেওয়া সহজ। কিন্তু দেশে কর্মীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এবং লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।’