ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে মসজিদের উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতা গ্রুপের অর্থ সহায়তা Logo ১ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন সাইফউদ্দিন Logo নুর-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ Logo প্রেস সচিবের তীব্র প্রতিক্রিয়া: “মিথ্যাচারের উৎস হয়ে উঠেছেন গোলাম মাওলা রনি” Logo রেজা কিবরিয়া: ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে চিনবেই না’ Logo মাধবপুরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo কুমিল্লায় মা ও দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা, ২৪ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি Logo এনটিভির ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে শেরপুরে কেক কাটা ও আলোচনা সভা Logo মাওলানা আব্দুল হক (রহ.):এক খেদমতপ্রিয় আলেমের অনন্ত জীবনগাথা Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোলার ৪টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুতি শুরু

মাওলানা আব্দুল হক (রহ.):এক খেদমতপ্রিয় আলেমের অনন্ত জীবনগাথা

বাংলার খবর ডেস্ক আলেম সমাজের মাঝে এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের জীবনের আলো নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ে শত শত হৃদয়ে। মাওলানা আব্দুল হক (রহ.) ছিলেন ঠিক তেমন একজন আল্লাহভীরু, নিষ্ঠাবান ও খেদমতপ্রিয় আলেম, যিনি পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ইসলামী শিক্ষা, মসজিদ-মাদরাসা এবং উম্মাহর কল্যাণে।

জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন সবাহী মক্তব ও জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া হলদারপুর মাদরাসায় শিক্ষাদানে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দরস ও তাদরীসের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি। ক্লাস শেষ হওয়ার পরও ছাত্রদের ব্যক্তিগত সমস্যায় পাশে দাঁড়াতেন নিরলসভাবে।

শিক্ষাকে তিনি পেশা নয়, বরং ইবাদত হিসেবে দেখতেন। তাঁর কাছে ছাত্ররা ছিল আমানত, আর শিক্ষা ছিল দায়িত্ব। সহকর্মীদের সাথে আচরণ ছিল সদয়, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সহনশীল। মাদরাসার প্রতিটি কাজে—রং-চুন থেকে শুরু করে ছাত্রদের অসুস্থতায় খোঁজখবর পর্যন্ত—তিনি ছিলেন সক্রিয় ও নিবেদিতপ্রাণ।

ইবাদতেও ছিলেন একনিষ্ঠ। জীবনের শেষ দিনেও তিনি যোহরের নামাজ আদায় করেন, এরপরই তিনি পৃথিবী ছেড়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। এমন সুন্দর পরিণতি সেইসব মানুষের জন্যই সংরক্ষিত থাকে, যাঁরা নামাজকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিয়েছেন।

তাঁর সততা, বিনয়, ধৈর্য ও প্রজ্ঞা ছিল সমাজের কাছে অনুকরণীয়। স্থানীয়রা তাঁকে “আল্লাহওয়ালা” বলে সম্বোধন করতেন, আর ছাত্রদের কাছে তিনি ছিলেন অভিভাবকতুল্য আশ্রয়স্থল।

আজ মাওলানা আব্দুল হক (রহ.) আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ ও শিক্ষাদর্শ আমাদের পথ দেখায়। তাঁর জীবন প্রমাণ করে, সত্যিকারের সম্মান অর্জিত হয় ইখলাস, খেদমত ও তাকওয়ার মাধ্যমে।

আল্লাহ তাঁর ইবাদত ও খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

মাধবপুরে মসজিদের উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতা গ্রুপের অর্থ সহায়তা

error:

মাওলানা আব্দুল হক (রহ.):এক খেদমতপ্রিয় আলেমের অনন্ত জীবনগাথা

আপডেট সময় ০১:০৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক আলেম সমাজের মাঝে এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের জীবনের আলো নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ে শত শত হৃদয়ে। মাওলানা আব্দুল হক (রহ.) ছিলেন ঠিক তেমন একজন আল্লাহভীরু, নিষ্ঠাবান ও খেদমতপ্রিয় আলেম, যিনি পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ইসলামী শিক্ষা, মসজিদ-মাদরাসা এবং উম্মাহর কল্যাণে।

জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন সবাহী মক্তব ও জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া হলদারপুর মাদরাসায় শিক্ষাদানে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দরস ও তাদরীসের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি। ক্লাস শেষ হওয়ার পরও ছাত্রদের ব্যক্তিগত সমস্যায় পাশে দাঁড়াতেন নিরলসভাবে।

শিক্ষাকে তিনি পেশা নয়, বরং ইবাদত হিসেবে দেখতেন। তাঁর কাছে ছাত্ররা ছিল আমানত, আর শিক্ষা ছিল দায়িত্ব। সহকর্মীদের সাথে আচরণ ছিল সদয়, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সহনশীল। মাদরাসার প্রতিটি কাজে—রং-চুন থেকে শুরু করে ছাত্রদের অসুস্থতায় খোঁজখবর পর্যন্ত—তিনি ছিলেন সক্রিয় ও নিবেদিতপ্রাণ।

ইবাদতেও ছিলেন একনিষ্ঠ। জীবনের শেষ দিনেও তিনি যোহরের নামাজ আদায় করেন, এরপরই তিনি পৃথিবী ছেড়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। এমন সুন্দর পরিণতি সেইসব মানুষের জন্যই সংরক্ষিত থাকে, যাঁরা নামাজকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিয়েছেন।

তাঁর সততা, বিনয়, ধৈর্য ও প্রজ্ঞা ছিল সমাজের কাছে অনুকরণীয়। স্থানীয়রা তাঁকে “আল্লাহওয়ালা” বলে সম্বোধন করতেন, আর ছাত্রদের কাছে তিনি ছিলেন অভিভাবকতুল্য আশ্রয়স্থল।

আজ মাওলানা আব্দুল হক (রহ.) আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ ও শিক্ষাদর্শ আমাদের পথ দেখায়। তাঁর জীবন প্রমাণ করে, সত্যিকারের সম্মান অর্জিত হয় ইখলাস, খেদমত ও তাকওয়ার মাধ্যমে।

আল্লাহ তাঁর ইবাদত ও খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন।