
বাংলার খবর ডেস্ক হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ববুল্লা গ্রামে সরকারি খাল দখলের অভিযোগের পর তিন মাস কেটে গেলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার মো. শাহজাহান মিয়া (৩২) সরকারি খালের একাংশ দখল করে প্রথমে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। এতে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি আবারও খালের আরও একটি অংশ দখল করে পাকা দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন। এতে পূর্ববুল্লা ও পূর্ব সিংহগ্রাম গ্রামের বর্ষার পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মোহন চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর স্থানীয় গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তিন মাসেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
অভিযোগকারীর দাবি, তিনি বারবার উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাননি। সার্ভেয়ারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও শুধু “বিষয়টি দেখছি” বলেই দায়িত্ব এড়ানো হয়েছে।
সম্প্রতি সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শনের আশ্বাস দিলেও স্থানীয়রা বলছেন, কবে এই তদন্ত হবে এবং কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী শারমীন নেওয়াজ জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, এমন একটি গুরুতর অভিযোগে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন? বর্ষা শুরু হলে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তারা দ্রুত দখল উচ্ছেদ এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।