ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সিলেটের ডিসিকে ‘ব্যর্থ’ দাবি করে প্রত্যাহার চেয়ে রাজপথে অবস্থান আরিফুলের Logo প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট: তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত Logo মাধবপুর থানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন ওসি, বললেন: মাদককে ছাড় নয় Logo চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার বরখাস্ত: সরকারের কঠোর পদক্ষেপ শুরু Logo বেঙ্গালুরুতে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু, দায় চাপল আরসিবির ওপর Logo আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড Logo রোহিতদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে আপত্তি, অনিশ্চয়তায় সিরিজ Logo মাধবপুরে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে জাতীয় মহিলা সংস্থার ভাতা প্রদান ও প্রদর্শনী Logo গাঁজা ও লক্ষাধিক টাকা সহ মাদক ব্যবসায়ী রায়েছ গ্রেফতার৷ Logo বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে দেশসেরা হলেন জামালপুরের ফরহাদ হোসেন

বেঙ্গালুরুতে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু, দায় চাপল আরসিবির ওপর

বাংলার খবর ডেস্ক আইপিএল শিরোপা জয় উদযাপনের সময় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে পদদলিত হয়ে ১১ জন মানুষ প্রাণ হারানোর ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিরুদ্ধে গুরুতর দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (ক্যাট) দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনার দায় কোহলিদের দলেরই।

তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩ জুন আইপিএল শিরোপা জয়ের একদিন পর বেঙ্গালুরু শহরে একটি উন্মুক্ত উদযাপনের আয়োজন করে আরসিবি। তবে এই আয়োজনের জন্য তারা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ধরনের পূর্বানুমতি নেয়নি এবং পুলিশের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ও করেনি। হঠাৎ করে সামাজিক মাধ্যমে উৎসবের ঘোষণা দেওয়া হলে জনসমাগম হঠাৎ করে বেড়ে যায়, যা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আয়োজনে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত হয়েছিল, যা আরসিবির অব্যবস্থাপনার ফল। পুলিশের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এই আয়োজনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ১২ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে এত বিশাল জনসমাগম সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছে, এত অল্প সময়ে পুলিশের পক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাস্তবসম্মত ছিল না।

এ ঘটনায় আরসিবি, কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা এবং রাজ্য সরকার একে অপরকে দায়ী করতে থাকে। পুলিশ বিভাগ থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। সেই বরখাস্তের বিরুদ্ধে পুলিশের এক সদস্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে পুরো বিষয়টি তদন্তের আওতায় আসে।

ট্রাইব্যুনাল তাদের পর্যবেক্ষণে আরও মন্তব্য করে, “পুলিশ কর্মকর্তারাও মানুষ। তারা জাদুকর নন যে অল্প সময়ের মধ্যে সব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।” সকাল থেকে বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে বিধান সৌধ ও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। ভিড়ের চাপে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন প্রাণ হারান।

ঘটনার জেরে আরসিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেফতার হন এবং বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদযাপন যেন অনুমতি ছাড়া না হয়, সে জন্য নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের ডিসিকে ‘ব্যর্থ’ দাবি করে প্রত্যাহার চেয়ে রাজপথে অবস্থান আরিফুলের

error:

বেঙ্গালুরুতে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু, দায় চাপল আরসিবির ওপর

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক আইপিএল শিরোপা জয় উদযাপনের সময় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে পদদলিত হয়ে ১১ জন মানুষ প্রাণ হারানোর ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিরুদ্ধে গুরুতর দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (ক্যাট) দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনার দায় কোহলিদের দলেরই।

তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩ জুন আইপিএল শিরোপা জয়ের একদিন পর বেঙ্গালুরু শহরে একটি উন্মুক্ত উদযাপনের আয়োজন করে আরসিবি। তবে এই আয়োজনের জন্য তারা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ধরনের পূর্বানুমতি নেয়নি এবং পুলিশের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ও করেনি। হঠাৎ করে সামাজিক মাধ্যমে উৎসবের ঘোষণা দেওয়া হলে জনসমাগম হঠাৎ করে বেড়ে যায়, যা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আয়োজনে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত হয়েছিল, যা আরসিবির অব্যবস্থাপনার ফল। পুলিশের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এই আয়োজনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ১২ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে এত বিশাল জনসমাগম সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছে, এত অল্প সময়ে পুলিশের পক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাস্তবসম্মত ছিল না।

এ ঘটনায় আরসিবি, কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা এবং রাজ্য সরকার একে অপরকে দায়ী করতে থাকে। পুলিশ বিভাগ থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। সেই বরখাস্তের বিরুদ্ধে পুলিশের এক সদস্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে পুরো বিষয়টি তদন্তের আওতায় আসে।

ট্রাইব্যুনাল তাদের পর্যবেক্ষণে আরও মন্তব্য করে, “পুলিশ কর্মকর্তারাও মানুষ। তারা জাদুকর নন যে অল্প সময়ের মধ্যে সব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।” সকাল থেকে বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে বিধান সৌধ ও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। ভিড়ের চাপে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন প্রাণ হারান।

ঘটনার জেরে আরসিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেফতার হন এবং বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদযাপন যেন অনুমতি ছাড়া না হয়, সে জন্য নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।