
পারভেজ হাসান, লাখাই থেকে:
হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে প্রশস্তকরণ প্রকল্প থেকে ইতিপূর্বে বাদ দেওয়া লাখাই অংশকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ‘টেকনিক্যাল কমিটি’ গঠন করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। গত ২৯ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই প্রকল্প সংক্রান্ত প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকে এই কমিটি গঠিত হয়। যোগাযোগ সচিবের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত সচিব ডক্টর জিয়াউল হক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সম্প্রতি গঠিত লাখাই উপজেলার উন্নয়ন অ্যাডভোকেসি সংগঠন ‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর উপদেষ্টা জনাব জালাল আহমেদ অতিরিক্ত সচিবকে প্রয়োজনে প্রকল্প এলাকা লাখাই সরেজমিনে পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই মহাসড়কের লাখাই অংশ চার লেনে সম্প্রসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর সমন্বয়ক শফিউল আলম সজল জানান, পূর্ব-সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক বিষয়ে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সংগঠনের উপদেষ্টা জনাব জালাল আহমেদের কার্যালয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে উপদেষ্টা জালাল আহমেদ হবিগঞ্জ-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক বিষয়ক প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব ড. জিয়াউল হকের সাথে কথা বলেন। জনাব জালাল আহমেদ দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্প এলাকা সফরের আহ্বান জানান এবং প্রয়োজনে তিনি নিজে অতিরিক্ত সচিবকে নিয়ে প্রকল্প এলাকায় সফর করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের জয়েন্ট-কোঅর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন, এপিপি; সহকারী অধ্যাপক আতাউর রহমান অপূর্ব এবং অ্যাডভোকেট দেবাশীষ।
‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর প্রধান সমন্বয়ক কাউসার মুমিন বলেন, হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল প্রকল্প থেকে লাখাই অংশ বাতিলের পর থেকেই ‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর পক্ষ থেকে আমাদের উপদেষ্টা জনাব জালাল আহমেদ বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ উপদেষ্টার কার্যালয়ে ও যোগাযোগ সচিবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা স্থানীয় থানা ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি এবং তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন ও অ্যাডভোকেসি একই সাথে চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত লাখাইবাসীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’ এভাবেই সামাজিক ও প্রশাসনিক অ্যাডভোকেসি অব্যাহত রাখবে।”