
বাংলার খবর ডেস্ক:
ভোটার তালিকা যাচাই ও দলীয় কোন্দলের কারণে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৬ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এ কাউন্সিল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে গুলশান কার্যালয়ে একাধিক বৈঠকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় কারাগার থেকে নির্বাচিত সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা বিএনপির সভাপতি ঘোষণা করা হয়।
তবে সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার শিফা ও শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ অভিযোগ তোলে— কাউন্সিলরদের তালিকায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে তারা কাউন্সিল বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে বসে ৩১ আগস্ট ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যেসব নেতার নাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রমাণিত হবে, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোন্দলের কারণে যারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি, তাদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দিতে কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং করায় অ্যাডভোকেট গুলজার খানকে নির্বাচন কমিশন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগের টিম লিডার অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার, সদস্য শেখ সুজাতসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।