
আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জামালপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা.তরিকুল ইসলাম (রনি) নামে একজন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও শারিরিক ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ২৩ জুন দুপুরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মো. তরিকুল ইসলাম রনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসাবে কর্মরত। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডেন্টাল সার্জন ইকরামুল হক হিটলু। তিনি একই হাসপাতালে ডেন্টাল সার্জন হিসাবে কর্মরত ও আওয়ামীপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সাথে জড়িত।
এ ঘটনায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ সকল চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জরুরি সভা হয়। সেখানে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের আগেই ডেন্টাল সার্জন ইকরামুল হক হিটলু টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে নিয়োগ দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ হন ডা. হিটলু। গত রোববার দুপুরে তিনি কতিপয় লোকজন নিয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহানের গাড়ির গতিরোধ করেন এবং তাকে হুমকি দেন। আজ দুপুরে ডা. হিটলু ও তার স্ত্রী ডা. শারমিন আমার কক্ষে ঢুকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে মারধর করেন তারা। খবর পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তখন পালিয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক হিটলু।
ড্যাবের জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. আহাম্মদ আলী আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না হলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবা চালু থাকবে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হয়ে আরেক চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে মারধর করার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
অভিযুক্ত চিকিৎসক ইকরামুল হক হিটলুকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আতিক বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।