
মেঘনা গ্রুপ কর্তৃক দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ নাগরিক, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলন হওয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়।
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল প্রেসক্লাবের সামনে ভয়েস অফ টাইমস আয়োজিত দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে এই আল্টিমেটামের কথা জানান তারা।
এসময় মানারত বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, মাহমুদুর রহমান কোনো ব্যক্তি নন। তিনি সাধারণ কোনো সাংবাদিকও নন। আমাদের জাতির বিবেক। আমাদের রোল মডেল। যখন দেশ ও মানুষের অবস্থা বিপন্ন তখন তিনি তার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি তার লিখনির মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন অকুতোভয়ভাবে।
তিনি বলেন, আমার দেশ কোনো একটি সাধারণ পত্রিকা বা কাগজ নয়, এটা সত্য ও ন্যায়ের বাতিঘর। আমার দেশ এবং মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের কিংবদন্তি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত জাতি মেনে নিবে না, জাতি রুখে দাঁড়াবে।
সারা দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার দেশ ও মাহমুদর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে, ৬৪ জেলায়, নগরে বন্দরে সারা দেশে প্রতিবাদী আওয়াজ তুলুন। এই সরকারকে আমরা বলতে চাই, জাতির বিবেক ও আমাদের বাতিঘর মাহমুদুর রহমান এবং আমার দেশের বিরুদ্ধে যদি এরকম ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে তাহলে আপনারা সকলের বিবেক থেকে মুছে যাবেন। ফ্যাসিবাদ পতনের ভ্যানগার্ড মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। তা না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার কারণে ‘আমার দেশ’ ও মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরও কেন তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলবে, এটাই আমাদের সবচেয়ে কষ্টের। মাহমুদুর রহমানের রক্ত ও ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে সরকার এসেছে, সেই সরকারের আমলেই যদি ‘আমার দেশ’ স্বাধীনভাবে লিখতে না পারে, তা আমাদের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জার। অতীতে পত্রিকাটি বন্ধ করা হয়েছিল সাহসিকতার জন্য, এখন আবার ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হচ্ছে রিপোর্টারদের। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমার দেশ- এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, আমার দেশ- এর আবাসিক সম্পাদক ওলিউল্লাহ নোমান, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।