ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ Logo প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন Logo মাধবপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার Logo নাটোরে চাঁদা না দেওয়ায় ১০ দোকানে তালা, জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪ Logo বাবার মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছেলেও, একসঙ্গে জানাজা Logo আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, এসবি’র ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি Logo মাধবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেছে সৈয়দ মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন Logo বাহুবলে ৩ মাস ধরে বন্ধ অ্যাম্বুলেন্স সেবা, চরম দুর্ভোগে রোগীরা Logo চান্দপুরে বেহাল রাস্তা: শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরমে, মেরামতের আশ্বাস ইউপি সদস্যের Logo আমরা জামালপুরকে সেই চাঁদাবাজ থেকে উদ্ধার করে একটি জনগণের জামালপুর গড়তে চাই — নাহিদ ইসলাম

বাহুবলে ৩ মাস ধরে বন্ধ অ্যাম্বুলেন্স সেবা, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

**হাবিবুর রহমান নোমান, বাহুবল (হবিগঞ্জ):**
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল হয়ে পড়লেও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সাধারণ রোগী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকেই তা আর চালু হয়নি। বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন জানানো হলেও এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতিদিনই জরুরি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স খুঁজতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া জানান, “আমার এক আত্মীয় হঠাৎ স্ট্রোক করলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায় সেটি নষ্ট হয়ে আছে। পরে অনেক কষ্টে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিতে হয়।”

একই অভিজ্ঞতার কথা বলছেন অনেকেই। হাসপাতালটি মহাসড়কের পাশে হওয়ায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দ্রুত সিলেটসহ বড় হাসপাতালে প্রেরণের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের অভাব বড় সংকটে ফেলে দিচ্ছে স্বজনদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহেল মারুফী বলেন, “আমাদের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, সেটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে দ্রুত সচল করা হবে।”

এ অবস্থায় এলাকাবাসী ও রোগীদের স্বজনরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “সরকারি এই জরুরি সেবাটি না থাকায় আমরা শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছি না, সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী জীবনঝুঁকিতে পড়ছেন।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

error:

বাহুবলে ৩ মাস ধরে বন্ধ অ্যাম্বুলেন্স সেবা, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

আপডেট সময় ১২:১৬:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

**হাবিবুর রহমান নোমান, বাহুবল (হবিগঞ্জ):**
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল হয়ে পড়লেও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সাধারণ রোগী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকেই তা আর চালু হয়নি। বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন জানানো হলেও এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতিদিনই জরুরি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স খুঁজতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া জানান, “আমার এক আত্মীয় হঠাৎ স্ট্রোক করলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায় সেটি নষ্ট হয়ে আছে। পরে অনেক কষ্টে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিতে হয়।”

একই অভিজ্ঞতার কথা বলছেন অনেকেই। হাসপাতালটি মহাসড়কের পাশে হওয়ায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দ্রুত সিলেটসহ বড় হাসপাতালে প্রেরণের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের অভাব বড় সংকটে ফেলে দিচ্ছে স্বজনদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহেল মারুফী বলেন, “আমাদের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, সেটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে দ্রুত সচল করা হবে।”

এ অবস্থায় এলাকাবাসী ও রোগীদের স্বজনরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “সরকারি এই জরুরি সেবাটি না থাকায় আমরা শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছি না, সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী জীবনঝুঁকিতে পড়ছেন।”