ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে শিশু সুমাইয়া হত্যায় প্রকৃত খুনি ধরাছোঁয়ার বাইরে, গ্রেপ্তার নিরপরাধ ব্যক্তি! Logo মাধবপুরে মাদক ব্যবসায়ী আটক: জব্দ ইয়াবা, গাঁজা ও নগদ অর্থ Logo বুল্লাবাজারে ব্যবসায়ীদের নির্বাচনী উৎসব, প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা Logo ইসরায়েলি হামলায় ইরানের গোয়েন্দা পুলিশের উপপ্রধান নিহত: ইরানি গণমাধ্যমের দাবি Logo জামালপুরে ড্যাবের সদস্য সচিব চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে Logo স্কুলছাত্র শাকিলের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির তীব্র নিন্দা Logo শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ Logo চুনারুঘাট-মাধবপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযান: ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার গরু ও মাদক জব্দ Logo হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গ্রেফতার নিয়ে বিতর্ক! Logo হবিগঞ্জে এনসিপির কমিটিতে মাদক কারবারি ও আ’লীগ-জাপা নেতাকর্মী!
ভুল মামলায় ক্ষোভ, ঘাতক রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি—মানববন্ধনের ডাক

মাধবপুরে শিশু সুমাইয়া হত্যায় প্রকৃত খুনি ধরাছোঁয়ার বাইরে, গ্রেপ্তার নিরপরাধ ব্যক্তি!

ভুল মামলায় ক্ষোভ, ঘাতক রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি—মানববন্ধনের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামে আট বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকারী চাচা রেনু মিয়া হলেও মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ জুন সন্ধ্যায়। শিশুটি ঘরে একা থাকাকালে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত সুমাইয়ার পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রকৃত হত্যাকারী রেনু মিয়া হলেও পূর্বশত্রুতার জেরে তার ভাই আশিক মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সুমাইয়ার পিতা বেনু মিয়া ও চাচা রেনু মিয়ার পারিবারিক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশিক মিয়াকে ফাঁসানো হয়েছে।

ঘটনার পর র‍্যাব-৯ ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তবে এলাকায় দাবি উঠেছে, প্রকৃত খুনিকে—অর্থাৎ রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজিচান মিয়া বলেন, “আমার জানামতে আশিক মিয়ার সঙ্গে রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল না। মূলত, বেনু মিয়া ও রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল। সেই জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”

নিহত শিশুটির নানা রমজান মিয়া বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। শুনে বাড়ি গিয়ে দেখি, আমার নাতনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে সুমাইয়ার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে নিজেই মৃত্যুর আগে বলেছিল—চাচা তাকে ছুরি দিয়ে কেটেছে।

গ্রামের আরও এক বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, “রেনু মিয়া ও তার সহযোগী মিলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অথচ তারা সেদিন এলাকায় ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে, যা মিথ্যা।”

হত্যার প্রকৃত কারণ ও আসামিদের শনাক্তে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মাধবপুর থানার ওসি বলেন, “ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। তদন্তে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে শিশু সুমাইয়া হত্যায় প্রকৃত খুনি ধরাছোঁয়ার বাইরে, গ্রেপ্তার নিরপরাধ ব্যক্তি!

error:

ভুল মামলায় ক্ষোভ, ঘাতক রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি—মানববন্ধনের ডাক

মাধবপুরে শিশু সুমাইয়া হত্যায় প্রকৃত খুনি ধরাছোঁয়ার বাইরে, গ্রেপ্তার নিরপরাধ ব্যক্তি!

আপডেট সময় ০৬:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ভুল মামলায় ক্ষোভ, ঘাতক রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি—মানববন্ধনের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামে আট বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকারী চাচা রেনু মিয়া হলেও মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ জুন সন্ধ্যায়। শিশুটি ঘরে একা থাকাকালে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত সুমাইয়ার পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রকৃত হত্যাকারী রেনু মিয়া হলেও পূর্বশত্রুতার জেরে তার ভাই আশিক মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সুমাইয়ার পিতা বেনু মিয়া ও চাচা রেনু মিয়ার পারিবারিক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশিক মিয়াকে ফাঁসানো হয়েছে।

ঘটনার পর র‍্যাব-৯ ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তবে এলাকায় দাবি উঠেছে, প্রকৃত খুনিকে—অর্থাৎ রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজিচান মিয়া বলেন, “আমার জানামতে আশিক মিয়ার সঙ্গে রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল না। মূলত, বেনু মিয়া ও রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল। সেই জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”

নিহত শিশুটির নানা রমজান মিয়া বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। শুনে বাড়ি গিয়ে দেখি, আমার নাতনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে সুমাইয়ার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে নিজেই মৃত্যুর আগে বলেছিল—চাচা তাকে ছুরি দিয়ে কেটেছে।

গ্রামের আরও এক বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, “রেনু মিয়া ও তার সহযোগী মিলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অথচ তারা সেদিন এলাকায় ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে, যা মিথ্যা।”

হত্যার প্রকৃত কারণ ও আসামিদের শনাক্তে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মাধবপুর থানার ওসি বলেন, “ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। তদন্তে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”