
ভুল মামলায় ক্ষোভ, ঘাতক রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি—মানববন্ধনের ডাক
স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামে আট বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকারী চাচা রেনু মিয়া হলেও মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ জুন সন্ধ্যায়। শিশুটি ঘরে একা থাকাকালে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত সুমাইয়ার পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রকৃত হত্যাকারী রেনু মিয়া হলেও পূর্বশত্রুতার জেরে তার ভাই আশিক মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সুমাইয়ার পিতা বেনু মিয়া ও চাচা রেনু মিয়ার পারিবারিক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশিক মিয়াকে ফাঁসানো হয়েছে।
ঘটনার পর র্যাব-৯ ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তবে এলাকায় দাবি উঠেছে, প্রকৃত খুনিকে—অর্থাৎ রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজিচান মিয়া বলেন, “আমার জানামতে আশিক মিয়ার সঙ্গে রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল না। মূলত, বেনু মিয়া ও রেনু মিয়ার বিরোধ ছিল। সেই জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”
নিহত শিশুটির নানা রমজান মিয়া বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। শুনে বাড়ি গিয়ে দেখি, আমার নাতনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।”
এদিকে সুমাইয়ার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে নিজেই মৃত্যুর আগে বলেছিল—চাচা তাকে ছুরি দিয়ে কেটেছে।
গ্রামের আরও এক বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, “রেনু মিয়া ও তার সহযোগী মিলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অথচ তারা সেদিন এলাকায় ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে, যা মিথ্যা।”
হত্যার প্রকৃত কারণ ও আসামিদের শনাক্তে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মাধবপুর থানার ওসি বলেন, “ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। তদন্তে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”