
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:হবিগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা কমিটি গঠনে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নবগঠিত কমিটিতে একাধিক মাদক কারবারি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন এমন ব্যক্তিরা যাদের কেউ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার, কেউ চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, আবার কেউ সরকারি দল বা সাবেক সরকারঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এতে এনসিপির দলীয় আদর্শ ও ‘জুলাই চেতনা’ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
কমিটিতে আলোচিত কয়েকজন সদস্য হলেন:
গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত মাহবুবুল বারী চৌধুরী মুবিন (যুগ্ম সমন্বয়কারী)
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নোমান
যুবলীগ নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল করিম
চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত মদের পাট্টার মালিক ‘পাট্টা নাসির’
বাহুবল উপজেলার জাপা নেতা আ খ ম উস্তার মিয়া
জাসদের সাবেক জেলা সেক্রেটারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মীর দুলাল
কমিটির সদস্য হারুন আল রশিদ অভিযোগ করেছেন, তাকে না জানিয়েই বিএনপি সংশ্লিষ্ট থাকা সত্ত্বেও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা তিনি প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এনসিপির জেলা সমন্বয়ক নাহিদ উদ্দীন তারেক জানান, “যারা কমিটিতে রয়েছেন, তারা আগে হয়তো অন্য দলে ছিলেন, কিন্তু এখন জুলাই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এনসিপিতে এসেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে উত্তরা অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এনসিপির এমন কমিটি গঠন প্রশ্ন তুলেছে দলটির গ্রহণযোগ্যতা, আদর্শ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পলাশ মাহমুদ ও চৌধুরী সামির সাকির দাবি করেন, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, “এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনগণের আস্থা হারাবে এ দল।”