ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাগল চুরি করে বিক্রির সময় নবীগঞ্জে দুই চোর আটক Logo বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo মাধবপুরে তিনটি অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক সিলগালা Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার মালামাল ও যানবাহন জব্দ Logo লাখাইয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo লাখাইয়ে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের উপর দফায় দফায় হামলা ঘর বাড়ি ভাঙচুরও লুটপাট Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ রাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে তদন্ত সংস্থা Logo আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে ফয়জুল করীমের মামলা

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের নাম মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরীয়াতুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‌‘আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। স্বৈরাচারের লোকজন তাকে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিহত করেছে। তার ওপর হামলা হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তিনি তো (ফয়জুল করীম) ইন্তেকাল করেন নাই। এই ইন্তেকাল কমিশন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে পরাজিত ঘোষণা করে। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল যে, আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি।’

কে এম শরীয়াতুল্লাহ আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রশাসন দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। আমরা চাই ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।’

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরবর্তী শুনানিতে আদালত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন।

২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অপর ছয় প্রার্থী। নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যা নিয়ে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয় এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে।

পরবর্তীসময়ে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। ফলাফল নিয়ে সেই সময়েই তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাগল চুরি করে বিক্রির সময় নবীগঞ্জে দুই চোর আটক

নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে ফয়জুল করীমের মামলা

আপডেট সময় ০৮:০১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের নাম মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরীয়াতুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‌‘আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। স্বৈরাচারের লোকজন তাকে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিহত করেছে। তার ওপর হামলা হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তিনি তো (ফয়জুল করীম) ইন্তেকাল করেন নাই। এই ইন্তেকাল কমিশন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে পরাজিত ঘোষণা করে। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল যে, আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি।’

কে এম শরীয়াতুল্লাহ আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রশাসন দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। আমরা চাই ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।’

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরবর্তী শুনানিতে আদালত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন।

২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অপর ছয় প্রার্থী। নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যা নিয়ে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয় এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে।

পরবর্তীসময়ে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। ফলাফল নিয়ে সেই সময়েই তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।