
মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন জনতার দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মো. সাঈয়েদ আঙ্গুর।
গত ২৮ জুন (শনিবার) রাতে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আঙ্গুর বলেন, তিনি ঢাকার বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। কিছুদিন আগে নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গত ১৬ জুন বিকেলে নয়াবিল দক্ষিণবাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মিজান, তার ভাই নূরে আলম সিদ্দিক শাহীন, নূরল আমিন, সুমাইল, সারোয়ার, স্বাধীন, ছফর উদ্দিনসহ একদল লোক আমার পথরোধ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সেদিন জনসম্মুখে হামলার চেষ্টা হলেও আমি কোনরকমে বেঁচে যাই।”
তিনি আরও জানান, দলীয় নির্দেশে তিনি শেরপুর জেলার ৫টি থানায় জনতার দলের কমিটি গঠনের জন্য ঢাকার বঙ্গবাজার থেকে নালিতাবাড়ীতে আসেন। ২৮ জুন নিজ বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে গিয়ে সিধুলী গ্রামে পুনরায় হামলার শিকার হন তিনি। এ সময় মিজানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
সৈয়দ আঙ্গুর দাবি করেন, “চেয়ারম্যান মিজানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে ছাত্র হত্যা ও সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগও রয়েছে।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি শেরপুর সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনতার দলের শেরপুর জেলা সভাপতি বুলবুল আহমেদসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।