ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় ‘নেতা’ ক্যাটাগরিতে ৬ নম্বরে রয়েছে ড. ইউনূসের নাম। এই তালিকায় শুরুর দিকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। তার বয়স ৮৪ বছর। তিনি সামাজিক ব্যবসা ধারণার প্রবর্তন করেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০২৫ সালের টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় শীর্ষের কাতারেই স্থান পেয়েছেন তিনি।

শুধু অর্থনৈতিক খাতেই নয়, ড. ইউনূস এই স্বীকৃতি পেয়েছেন সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণআন্দোলনের পর একটি স্বচ্ছ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রত্যাশায় জাতি যখন আশাবাদী, তখন ড. ইউনূস হয়েছেন গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক।

প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’

হিলারি লেখেন, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।

প্রসঙ্গত, ড. ইউনূস এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের সংকটপূর্ণ একটি সময়ে ছাত্ররা তাকে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেঁছে নেন। তিনি এখন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
error:

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় ‘নেতা’ ক্যাটাগরিতে ৬ নম্বরে রয়েছে ড. ইউনূসের নাম। এই তালিকায় শুরুর দিকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। তার বয়স ৮৪ বছর। তিনি সামাজিক ব্যবসা ধারণার প্রবর্তন করেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০২৫ সালের টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় শীর্ষের কাতারেই স্থান পেয়েছেন তিনি।

শুধু অর্থনৈতিক খাতেই নয়, ড. ইউনূস এই স্বীকৃতি পেয়েছেন সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণআন্দোলনের পর একটি স্বচ্ছ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রত্যাশায় জাতি যখন আশাবাদী, তখন ড. ইউনূস হয়েছেন গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক।

প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’

হিলারি লেখেন, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।

প্রসঙ্গত, ড. ইউনূস এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের সংকটপূর্ণ একটি সময়ে ছাত্ররা তাকে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেঁছে নেন। তিনি এখন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।