বাংলার খবর ডেস্ক নরসিংদীতে সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম আনোয়ারের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা মামলা গ্রহণ করেছি এবং দ্রুত অভিযানে নেমে ৭ জনকে আটক করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে এএসপি শামিম আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল শহরের আরশিনগর এলাকায় যানবাহন পরীক্ষা করছিল। ওই সময় দুই ব্যক্তি সড়কে চলাচলরত গাড়ি থেকে টাকা তুলছিল। বিষয়টি জানতে চাইলে এবং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা জানালে তারা বিরক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের আটক করলে ৩০-৩৫ জন চাঁদাবাজ দলবদ্ধভাবে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এএসপি শামিমকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নেয়। সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা আহত কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি নরসিংদী সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছিলেন এএসপি শামিম আনোয়ার। এতে ক্ষুব্ধ হয় কিছু প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্র। ঘটনার কয়েকদিন আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে তাঁর ওপর হামলা হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো শনিবারের ঘটনায়।