বাংলার খবর ডেস্ক: হবিগঞ্জের মাধবপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১০) হত্যা মামলায় তার আপন চাচা রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা সুমাইয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট সুমাইয়া। মেধাবী ও প্রাণবন্ত এই শিক্ষার্থীর হত্যায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
র্যাব জানায়, পারিবারিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল রেনু মিয়ার সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের। সেই বিরোধের জেরে তিনি পরিকল্পিতভাবে ভাতিজি সুমাইয়াকে হত্যা করেন এবং পরে ঘটনাটি প্রতিবেশীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসায় র্যাব অভিযানে নামে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, রেনু মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
এদিকে শিশু সুমাইয়ার হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর মতে, একজন চাচার হাতে ভাতিজির মৃত্যু শুধু অমানবিকই নয়, বরং সমাজের জন্য একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। তারা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।