বাংলার খবর ডেস্ক ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং রোজা শুরুর আগেই নতুন সরকার শপথ নেবে—এমন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ইসি।
বৃহস্পতিবার রাতে কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফশিল ঘোষণা হবে এবং নির্বাচনের আনুমানিক ৬০ দিন আগে সেই ঘোষণা আসবে। রোজা যদি হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি, তার আগেই নতুন সরকার গঠনের সময় রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে, তারা নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা সহজ করা হচ্ছে।
কমিশনের বৈঠকে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন, পোস্টাল ব্যালটের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত ব্যালট পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্রবাসীরা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দেখে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তাদের জন্য অনলাইন আবেদন ও নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হচ্ছে। কারাবন্দিরাও অনলাইনে পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করতে পারবেন।
সানাউল্লাহ বলেন, AI-এর মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রোধে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আচরণবিধিতে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এখনই কোনো সামাজিক মাধ্যম বা ইন্টারনেট সেবা সীমিত করার পরিকল্পনা নেই।
ড্রোন ও কোয়ার্ডকপ্টার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ব্যবহারের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকটি মিটিং হয়েছে এবং খরচ ও কার্যকারিতা পর্যালোচনা চলছে।
সবমিলিয়ে নির্বাচনের আগে নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং প্রবাসীসহ সব ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বড় পরিকল্পনায় এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।