**বাংলার খবর ডেস্ক:**
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ইস্যুতে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে—দলীয় নেতারা ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন না। যদি কারও কোনো বক্তব্য বা আপত্তি থাকে, তা আগে কেন্দ্রীয়ভাবে জানাতে হবে। এজন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (ভার্চুয়ালি) সভাপতিত্ব করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৫০টিরও বেশি আসনের সীমানা বহাল রেখে এবং কিছু আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে খসড়া প্রকাশ করে। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ইসির খসড়া প্রকাশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ ও বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং কিছু এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটি মনে করে, এভাবে চলতে থাকলে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হতে পারে। তাই সমন্বিতভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সীমানা পুনর্নির্ধারণে অসঙ্গতি আছে, সেসব বিষয়ে গণপিটিশনের মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে—তবে আগে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে অবহিত করতে হবে।
এদিকে, আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়ার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ হয়েছে। বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও সিলেটে এসব কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।