বাংলার খবর প্রতিনিধি, মাধবপুর, হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ফয়সল বলেছেন, “আমি ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একাধিকবার নির্বাচন করেছি, জনগণের সেবায় ছিলাম, আছি, থাকব।”
শনিবার সকালে মাধবপুরের ধর্মঘর সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে "সৈয়দ মো. ফয়সল শিক্ষাবৃত্তি" প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৯৯১ সালে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের মাধ্যমে ধর্মঘর-চৌমুহনী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করেছি, বিশাল সেতু নির্মাণ করেছি সোনাই নদীতে, খড়কি, বুল্লা, বাঘাসুরা এলাকায় রাস্তাও করেছি আমি। এগুলোই প্রমাণ দেয়, আমি কাজ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কারো কাছে কিছু চাইনি, শুধু জনগণের ভালোবাসা চেয়েছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাই। এবার খালি হাতে ফিরাবেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকতে চাই।”
তিনি বলেন, “দলের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হতে পারে। সেখানেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে। শহীদদের মূল্যায়ন এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই জাতির মুক্তির পথ স্পষ্ট হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবিদ মাস্টার।
বক্তব্য দেন: সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, সায়হাম গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) লিয়াকত হোসেন, মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল হক, ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ আলী আজগর, সাবেক প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলী, উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি বজলুর রহমান ভূঁইয়া, বাহা উদ্দিন ফারুকী, প্রধান শিক্ষক দিল্লর আলী, বিল্লাল হোসেন মেম্বার, জরিনা বেগম, জমশেদ আলী, মোতাহার হোসেন প্রমুখ।