বাংলার খবর ডেস্ক | ২৭ জুলাই ২০২৫ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল আঞ্চলিক ও স্থানীয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ।
তিনি বলেন, “অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত অন্যান্য সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। এই সিদ্ধান্তের পর সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রিফাত রশিদ আরও অভিযোগ করেন, “বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করতে পরাজিত শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করছে। সংগঠনকে ব্যবহার করে কেউ যদি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিচালনা নিয়ে শিগগিরই নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এই সিদ্ধান্ত আসে সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও মামলা হওয়ার পর। অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন সংগঠনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও তার সহযোগীরা। তারা টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরই মধ্যে পুলিশ রিয়াদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে। বাকি আসামিরা হলেন: কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষায় "আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু" আমিনুল ইসলাম।
এই ঘটনায় সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কার্যক্রম স্থগিত করা হলো বলে জানান সভাপতি রিফাত রশিদ।