বাংলার খবর ডেস্ক
দু’মুঠো ভাতের আশায় একদিন অনাহারে কাটিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়েছিল ১২ বছরের এক কিশোর। সেখানেই সে জানতে চায়, ‘বরিশালের ট্রেন কখন ছাড়বে?’ তার এই প্রশ্ন থেকেই পরিচয় হয় দুই যুবকের সঙ্গে। তারা জানায়, বরিশালে কোনো ট্রেন যায় না—সেই সূত্র ধরেই কিশোরকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ির একটি আবাসিক হোটেলে। পরদিন সেখানেই পাওয়া যায় কিশোরের অর্ধনগ্ন মরদেহ।
মরদেহের মুখ, চোখ ও পশ্চাদ্দেশ ছিল আঘাতে ফুলে থাকা। পিবিআই তদন্তে উঠে আসে, ভয়াবহ এই ঘটনার পেছনে রয়েছে আল আমিন (৩৪) ও সাদ্দাম নামে দুই মাদকাসক্ত যুবক। রেলস্টেশনে কিশোরের সঙ্গে প্রথমে আল আমিনের পরিচয় হয়। খাবারের লোভ দেখিয়ে সারাদিন তাকে সঙ্গে রাখে এবং রাতে হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে বিদ্যুৎ না থাকলেও তাদের পশুত্ব থেমে থাকেনি।
পিবিআই জানায়, প্রথমে আল আমিন ও পরে সাদ্দাম মিলে পালাক্রমে কিশোরকে বলাৎকার করে। নির্যাতনের মাত্রা এতই ভয়াবহ ছিল যে কিশোর একাধিকবার মুক্তি চাইলেও তাদের মন গলেনি। শেষ পর্যন্ত পরদিন সকালে মৃত্যু হয় তার।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর টঙ্গী রেলস্টেশন থেকে পিবিআই আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে সব স্বীকার করেছে। অপর আসামি সাদ্দাম এখনো পলাতক। নিহত কিশোরের পরিচয় এখনও জানা যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে তার বাড়ি বরিশালে। ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে বরিশাল পিবিআইয়ের সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে।
পিবিআই কর্মকর্তারা বলেন, এমন নির্মম ঘটনা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।