বাংলার খবর ডেস্ক
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিএনপি তাদের দলীয় পর্যায়ে ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে যে নোংরা রাজনৈতিক প্রচার হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার বলছে, এ ঘটনায় দোষীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
অপরদিকে, বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তারা দাবি করেছে, এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা আরও তিনজনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়নি, যা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব প্রাথমিকভাবে জানায়, ঘটনাটি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পুরনো শত্রুতার জেরে ঘটেছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি ও তারেক রহমানকে ঘিরে নানা গুজব এবং বিক্ষোভ তৈরি হয়, যা দলটির অভ্যন্তরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
র্যাব মহাপরিচালক জানিয়েছেন, তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করেছেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও নিশ্চিত করেছেন, অপরাধে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিএনপি জানিয়েছে, জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। তারা মনে করে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ ছাড়া কোনো পথ নেই।
অপরাধের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ বিএনপির রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।