বাংলার খবর ডেস্ক
বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তবে জেলা সদরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত উপজেলাগুলোতে নতুন করে আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলে অভিমত দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী নেতারা।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দশম দিনের আলোচনায় এই ঐকমত্য প্রকাশ পায়। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, জনসংখ্যার ঘনত্ব, মামলা বৃদ্ধির হার ও জেলা সদর থেকে দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে আদালত স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, যেসব উপজেলায় বর্তমানে চৌকি আদালত পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোর অবস্থা বিশ্লেষণ করে স্থায়ী আদালতে রূপান্তর সম্ভব কিনা তা মূল্যায়ন করা হবে।
সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটদের পদায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নতুন আদালতগুলোর জন্য। একইসঙ্গে দেওয়ানি মামলার আর্থিক এখতিয়ার যুগোপযোগীভাবে বাড়ানোর কথাও প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিনের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, এবি পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আলোচনা পরিচালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।