জামালপুর জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আনিসুজ্জামান গামার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীগণ। পিপির বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দুর্নীতি পরায়ণ ও অযোগ্য দাবি করে তার বিরুদ্ধে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।
১৮ জুন বুধবার সকালে জামালপুর জেলা জজ আদালত চত্ত্বরে মানববন্ধনে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে পিপি আনিসুজ্জামানের দ্রুত অপসারণ দাবি করা হয়। অন্যথায় আগামী ২২ জুন রবিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জিপি এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম বাদশার সভাপতিত্বে ও জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এড. মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. গোলাম নবী, সাধারণ সম্পাদক এড. রিশাদ রেজওয়ান বাবু, এড. দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রিশাদ রেজওয়ান বাবু বলেন, পিপি এড. আনিসুজ্জামান গামার বিরুদ্ধে পিপি ও এপিপিরা নির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনেছেন। অনাস্থা প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর অসাধারণ হয়নি। তাই তাঁর দ্রুত অপসারণের দাবিতে আজ মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা।
জিপি এড. তৌহিদুর ইসলাম বাদশা বলেন, পিপি কার্যালয়ে কোনো আলমারি না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র সংরক্ষণ করা মুশকিল। এ সমস্যা দূরীকরণে সরকারিভাবে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে এ টাকা উত্তোলন করার জন্য করা হয় একটি কমিটি। সেখানে ওই পিপিকে সভাপতি ও আমাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। যদিও পদাধিকার বলে এবং বয়সের জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় আমাকেই সভাপতি করার কথা। তিনি দুই কিস্তিতে ওই টাকা উত্তোলন করে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে চান আসবাবপত্র কেনার জন্য। আমি সেই টাকা গ্রহণ করিনি। এছাড়াও অন্যান্য আইনজীবীরাও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।