ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) খুলছে দেশের সব সরকারি অফিস। দীর্ঘ ছুটির পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। রাজধানীর প্রবেশমুখে এবং বড় বড় বাস টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
৫ জুন থেকে শুরু হওয়া ছুটির ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে এখন কর্মস্থলে ফেরার জন্য ছুটছেন রাজধানীর দিকে। আজ শনিবার রাজধানীর গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর ও মহাখালী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো একের পর এক ঢুকছে শহরে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও লোকাল পরিবহনের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
বাস থেকে নেমে কেউ যাচ্ছেন রিকশায়, কেউ সিএনজি অটোরিকশায়, কেউ বা হেঁটেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যে। অনেকে আবার মতিঝিল ও পল্টনের দিকে যাচ্ছেন মেট্রোরেলের সহায়তায়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। টার্মিনালজুড়ে শ্যামলী, এনা, সোহাগ, লাল সবুজ, স্টার লাইন, ইকোনো, গ্রিন লাইনসহ বড় পরিবহন কোম্পানির বাসের আধিক্য দেখা গেছে।
নোয়াখালী থেকে ফিরেছেন চাকরিজীবী সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, "ঢাকায় আসার বাসে জায়গা পাওয়া মুশকিল ছিল। অগ্রিম টিকেট না পাওয়ায় লোকাল বাসেই ফিরেছি।"
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেক যাত্রী জানান, ঢাকায় ফিরতে গিয়ে তারা টিকিট সংকটে পড়েছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে লোকাল বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলেও গন্তব্যে ফিরছেন।
মালিবাগ রেলগেট এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. রফিক বলেন, “আজ দুপুরের পর থেকেই গাড়ি ও মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে এখনো বড় কোনো যানজট হয়নি। ট্রাফিক বিভাগ সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করছে।”
যাত্রীদের এই ঢল এবং যানবাহনের ভিড় সত্ত্বেও আজকের দিনে উল্লেখযোগ্য কোনো ভোগান্তির চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কে চলাচল অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
সরকারি অফিসগুলোতে কর্মব্যস্ততা ফিরছে কাল থেকেই। ফলে ঢাকাবাসী নতুন সপ্তাহ শুরু করবেন ঈদের আনন্দ আর কাজের দায়িত্ব একসাথে নিয়ে।