পারভেজ হাসান, লাখাই থেকে:
হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প নিয়ে লাখাই ও আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা ও নানা গুঞ্জন। সম্প্রতি প্রকল্পের লাখাই অংশ নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জ-লাখাই অংশটি স্থায়ীভাবে বাদ পড়েনি বলে আশ্বস্ত করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌজুল কবির খান।
উল্লেখ্য, পুরো আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে সময় এবং দূরত্ব দুই-ই কমবে। যাত্রাপথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সময় বাঁচবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো মহাসড়ক প্রকল্পটি দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নাসিরনগর-সরাইল অংশে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা এবং হবিগঞ্জ-লাখাই অংশে প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৬৮০ কোটি টাকা। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে আগামী দুই বছরের মধ্যেই উভয় অংশের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, হবিগঞ্জ-লাখাই অংশের সম্ভাব্য বাদ পড়া নিয়ে জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। তারা দাবি তুলেছেন, লাখাই অংশ বাদ পড়লে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।
প্রবাসী সংগঠন ‘ইউনাইটেড ফর লাখাই’-এর প্রধান সমন্বয়ক, আমেরিকা প্রবাসী কাউসার মুমিন, যোগাযোগ উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খানের সঙ্গে আলাপ করে জানান, হবিগঞ্জ-লাখাই অংশে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে প্রকল্পের ওই অংশটি নতুনভাবে যাচাই করে পুনরায় রিকুইজিশন (Requisition) করা হবে। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, লাখাইয়ের অংশটি স্থায়ীভাবে বাদ দেওয়া হয়নি।
জনগণের স্বার্থে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি আরও জোরদার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, যেন এই মহাসড়ক প্রকল্প সমন্বিতভাবে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।