নবীগঞ্জে ভূয়া সেলাই প্রশিক্ষণের নামে প্রতারনা করে সহস্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক নিয়ে লাপাত্তা হয়েছ বর্ণমলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রতারকচক্র।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধা গ্রমের ময়না মিয়ার পুত্র জহুর আলী (মোবাইল: ০১৩০৯-৫৮৪৮৫০) প্রতারনার প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার একটি প্রতারকচক্র হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ,বাহুবল,চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে হবিগঞ্জে ছিলো আত্বনির্ভরশীল টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, নবীগঞ্জে
বর্ণমালা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বর্তমানে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে রেঁনেসা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ছত্রছায়ায় চুনারুঘাট উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বাড়িতে বাড়িতেগ্রামের সহজ সরল মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ।
ঐ প্রতারকচক্র নবীগঞ্জ পৌরসভার গন্ধা গ্রামেও জহুর আলীর বাড়ীতে ও এধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রথমে কোনো প্রকার টাকা লাগবে না বলে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে তারা ১ হাজার ২ শত টাকা করে কোর্স ফি বাবদ প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। প্রশিক্ষণ শুরু করার ২/৩ সপ্তাহ পর সকল প্রশিক্ষণার্থীদের সেলাই মেশিন কেনার পরামর্শ দেয়। তাদের মাধ্যমে মেশিন কিনলে মার্কেটের মূল্যের চাইতে ও তারা অনেক কমে কিনে দিবে বলে প্রশিক্ষন নেওয়া মহিলাদেরকে আশ্বাস দেয় ।
এই আশ্বাসেই গত ২২ মার্চ নবীগঞ্জের গন্ধা গ্রামের ৮ জনের কাছ থেকে প্রায় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর সেলাই মেশিন না দিয়েই লাপাত্তা হয়ে যায়। সাথে সাথে তাদের যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেয় । বর্তমানে ঐ প্রতারকচক্র চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন এবং ২নং আহমদাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের সহজ সরল বেকার মহিলারা প্রশিক্ষণ করে নিশ্চিত প্রতারনার স্বীকার হবে ।
তাইএ চক্রের সাথে জড়িত রুবেল, সাজ্জাদ, রোমান মিয়া, ফজলুল হকসহ নাম না জানা আরো ১৫/১৬ জন জড়িত রয়েছে বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে।
প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।