লাখাই উপজেলার যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক হাবিব মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজি ও প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়ায় থানায় মামলা।
মামলা সূত্রে জানা যায়,লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে লাখাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিব মিয়া(৪৩) ও একই গ্রামের কিয়ামত উল্লাহ ছেলে শহীদ উল্লাহ (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামী করে মামলা করেন মুড়িয়াউক গ্রামের মৃত গাবরু মিয়ার ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী।মামলার এজাহারে বাদী আইয়ুব আলী উল্লেখ করে বলেন,আসামী হাবিব মিয়া লাখাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক পদবী ব্যবহার করে এলাকার চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করিয়া আসিতেছে।আসামী হাবিব মিয়ার ভয়ে এলাকার কেহ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আসামী হাবিব মিয়া এতই খারাপ যে গায়ের জোরে যাহা ইচ্ছা তাহা অপকর্ম করিয়া বেড়াইতেছে।আসামী হাবিব মিয়া আমার দোকান হইতে বিভিন্ন সময় বাকীতে মালামাল নিয়া যায়।বাকীতে মালামাল দিতে অস্বীকার করলে আমাকে হুমকি দিয়া বলে "শালার পুত আমি লাখাই উপজেলা যুবদলের নেতা তুই যদি আমাকে বাকীতে মালামাল না দেছ তাহলে তকে তর দোকানে ব্যবসা করিতে দিমু না" এমনকি আমি নিজে তুর দোকানের মালামাল চুরি করিয়া নিয়ে যামু।গত ১১ মে বেলা অনুমান বিকাল ৪ ঘটিকায় আমার ছেলে মোঃ ইয়াছিন মিয়া মুড়িয়াউক ইউনিয়ন অফিসে বসা থাকাবস্থায় হাবিব মিয়া আমার ছেলের নিকট ৫ হাজার টাকা কর্জ চায়। তখন আমার ছেলে মোঃ ইয়াছিন মিয়া আসামী হাবিব মিয়াকে কর্জ দিতে অস্বীকার করিলে হাবিব মিয়া আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আসামী হাবিব মিয়ার এইসব কর্মকান্ডের বিষয়ে আমি এলাকার মুরুব্বীদের অবগত করি। এবং আসামী হাবিব মিয়ার পিতার নিকট বিচার দেই। আমি আসামী হাবিব মিয়ার পিতার নিকট বিচার দেওয়ার পর ১২ মে বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ ঘটিকায় আমি বাড়ী হইতে দোকানে যাওয়ার পথে আমার দোকানের সামনে রাস্তায় পৌছিলে হাবিব মিয়া ও শহীদ উল্লাহ
সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামী আমার পথরোধ করিয়া আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে আসামী হাবিব মিয়ার হাতে থাকা দা দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করে কুব মারে,সেই কুব আমার বাম হাতে পরে রক্তাক্ত জখম হয়। তখন চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আমাকে রক্ষা করে। তখন হাবিব মিয়া প্রকাশ্যে বলে আমি লাখাই উপজেলা যুবদলের নেতা, আমার নামে কারো কাছে বিচার দিলে বা থানায় মামলা করলে তকে ও তর ছেলেকে খুন করিয়া লাশ নদীতে ভাসাইয়া দিব। আমি লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই।এজাহারে উল্লেখিত আসামীদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ যেকোন সময় আমাকে এবং আমার ছেলেকে রাস্তা ঘাটে একা পাইয়া খুন করিয়া ফেলিত পারে।