প্রায় ২২ বছরের রাজনৈতিক মিত্র ও নির্বাচনী সঙ্গী বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী। ২০২২ সালে দল দুটির সম্পর্ক শিথিল হয় ২০-দলীয় জোট ভেঙে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। জোট ভাঙলেও ২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনেও উভয়ই ছিলো সহযোগী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী নির্যাতনের শিকার দলগুলোর মধ্যে বড় ধরনের ঐক্য তৈরি হলেও গত সাত মাসে অনৈক্যের সুর দেখা গেছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পর বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে আসছে, জামায়াত চাইছে, সংস্কার শেষে ‘যৌক্তিক সময়ের’ মধ্যে নির্বাচন। অন্যদিকে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল- এনসিপি বলছে, গণপরিষদ নির্বাচনের কথা। ফলে বিএনপি-জামায়াত এবং ছাত্রদের মধ্যে পর্দার অন্তরালের যে অনৈক্যে ছিলো তা প্রকাশ্যে এসেছে। ক্ষমতার লোভ আর নানারকম স্বার্থের দ্বন্দ্বে একে অপরকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যের সুযোগে অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি একত্রিত হয়ে বিনিয়োগ করছে। এই থ্রেট মোকাবিলা করতে না পারলে জাতির পরাজয় হবে।
তবে এই দুই বুদ্ধিজীবী আশার কথাও শুনিয়েছেন। তারা বলছেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকলেও সংকটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলো আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে।
বিশ্লেষকদের অভিমত, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যোগাযোগ স্থাপন, রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ভন্ড খন্ড মিছিল বড় জমায়েতের বার্তা দিচ্ছে পরাজিতরা।