মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ আঙ্গুরা কে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘাতক স্বামী নাজমুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কানন দে আদালতে ঘাতক নাজমুল হোসেনকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহনুর ইসলাম। মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। স্বামীর মৃত মাকে নিয়ে গালমন্দ করার স্বামী নাজমুল ক্ষুব্ধ হয়।এরপরে স্ত্রী আঙ্গুরা কে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঈদের চাঁদ রাত একটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে জানান । এর কয়েক ঘণ্টা পর ঘর তালা বদ্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়।
মঙ্গলবার রাতে নাজমুলকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালীর সুধারামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহানুর ইসলাম গ্রেফতার করে। বুধবার বিকেলে নাজমুল কে আদালতে হাজির করলে আঙ্গুরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন আদালতে। পরে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে নাজমুল মিয়া (২৫) প্রায় ৫ বছর আগে প্রেম করে পাশ^বর্তী মীরনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আঙ্গরা বেগম(২১)কে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের কুলজুড়ে একটি একটি মেয়ে সন্তান।। ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাতের কোন সময় নাজমুল তার স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের দরজা বাহিরে দিয়ে আটকিয়ে দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঈদের সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে নাজমুল কে প্রধান আসামি করে ৪জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই নাজমুল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ৪৮ ঘন্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার কর হয়।