স্টাফ রিপোর্টার। তেলিয়াপাড়ার নিশান সংস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের বিভ্রান্তির লক্ষে নানা রকম প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, গ্রাহকদের সেবায় তারা কাজ করে যাচ্ছে। অথচ সংস্থার নির্বাহী প্রধান মঈন উদ্দীন বেলাল ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম গ্রাহকের টাকায় আমেনা চক্রের জগদীশপুরে নির্মানাধীন বহুতল ভবন অফিস করছেন বলে প্রচার করে গেলেও তাদের দুই পুত্র সালমান-সায়েম কোথায় তা কেউ জানে না। চিকিৎসার নাম করে ভারতে যাওয়ার যে পায়তারা করেছিলেন তা কেউ মানতে নারাজ। দেশেই যেখানে ইউনাইডেট, স্কয়ার, পিজি হাসপাতালসহ বারডেমের মত আরো নামীদামী হাসপাতাল রয়েছে তা উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষকে প্রলোভনে ফেলে চিকিৎসার নামে ভারত যাওয়া মানেই পালিয়ে যাবার একটি হীন প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন প্রতারিতরা।
এদিকে সংস্থার চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন এখন নিরুদ্দেশ বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই। তবে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নয়াপাড়ায় বহুতল বিশিষ্ট ভবন তৈরীর কাজ অব্যাহত রেখেছেন জালাল উদ্দীন। এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জালাল উদ্দীনের দুই ভাই মঈন উদ্দীন ও ইমান উদ্দীন। এই ভবনের অংশীদার বেলাল-আমেনাও রয়েছেন।
অপর দিকে চুনারুঘাট উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের আমু চা বাগান সড়কে নিশানের যে অফিস করা হয়েছে তা বেলাল-আমেনার নামে। গ্রাহকের টাকায় এই অফিসের জমি ক্রয় থেকে ভবন নির্মাণ তাদের নামে করা হয়েছে। চুনারুঘাট উপজেলা সদরেও মূল্যবান ভূমি ক্রয় করা হয়েছে। আর এর পেছনের কলকাটি ঘুরাচ্ছেন মঈন উদ্দীন বেলালের স্ত্রী ও সংস্থার চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের বোন আমেনা বেগম।
সাধারণ মানুষকে লাভের ফাঁদে পেলে বেলাল-আমেনা-জালাল ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের নামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহুতল বিশিষ্ট ভবন করে নিচ্ছেন।
মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের আমানতসহ লভ্যাংশ ৩ মাসের মধ্যে ক্রমান্বয়ে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তা না করে সংস্থার প্রধান নির্বাহী মঈন উদ্দীন বেলাল ও আমেনা বেগম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পাড় পাননি। তবে তাদের দুই পুত্র সালমান-সায়েমসহ আমেনার বেগমের ভাই সংস্থার চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন লোকচক্ষুর অন্তরালে। শুধু মাত্র মঈন উদ্দীন বেলাল ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম তেলিয়াপাড়ার বাসায় অবস্থান করছেন।
ভুক্তভোগী মানুষকে শান্তনা দেয়ার মানসেই তারা অফিস করছেন, গ্রাহকের লভ্যাংশ দেবেন বলে প্রচার করে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা আশায় বুক বেঁধে আছেন, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার কারণেই বেলালচক্র দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। তাদের দাবী জনপ্রেমী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মহতী উদ্যোগই শতাধিক প্রতারিত গ্রাহক বেলাল আমেনা জালাল সিন্ডিকেটের কবল থেকে তাদের জীবনের শেষ সম্বল অর্থকড়ি ফেরত পাওয়া সম্ভব।
ভুক্তভোগীরা তাদের পাপ্য টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের আকুতির কথা তুলে ধরছেন।